ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ২:১১:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পরীক্ষা ছাড়া করোনার মনগড়া রিপোর্ট: ২ জনের দায় স্বীকার

ইউএনবি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০৮ পিএম, ২৪ জুন ২০২০ বুধবার

পরীক্ষা ছাড়া করোনার মনগড়া রিপোর্ট: ২ জনের দায় স্বীকার

পরীক্ষা ছাড়া করোনার মনগড়া রিপোর্ট: ২ জনের দায় স্বীকার

করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই মনগড়া রিপোর্ট সরবরাহের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন।

হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

অপরদিকে, একই কারণে গ্রেপ্তার সাঈদ চৌধুরী (৪৭), বিপ্লব দাস (২৫), মামুনুর রশীদ (১৯) এবং আরিফুল চৌধুরীর (৪০) দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৪৬২

বুধবার ছয় আসামিদের ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

এ সময় আসামি হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনার জবানবন্দি রেকর্ড করারও আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, আশকোনা বাড়ি ও গুলশান-২ এর কনফিডেন্স টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির এ চক্রের মূলহোতা। তানজীনা পাটোয়ারী তার স্ত্রী। তাদের নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতেন এবং ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করতেন।

চক্রটি জনপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তাররা করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেয়। তবে নমুনা সংগ্রহ করার পর তা আর পরীক্ষা করা হয় না। তাদের নেই কোনো ল্যাব। কম্পিউটারে ফলাফল লিখে ই-মেইলে তা রোগীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এভাবে ইতোমধ্যে ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট জানিয়েছে তারা।

নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর বাহ্যিক উপসর্গ দেখে একটা ধারণা থেকে ফলাফল তৈরি করে। করোনার বাহ্যিক উপসর্গ দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ করা হয়। কোনো উপসর্গ না দেখা দিলে তার রিপোর্টে নেগেটিভ উল্লেখ করা হয়।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান বলেন, ‘গুলশানের কনফিডেন্স টাওয়ারের অফিসে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা কম্পিউটারে জাল রিপোর্ট পাওয়া গেছে।’

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৩৭ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করে মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন তারা। বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে জনপ্রতি পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন উর রশিদ বলেন, ‘এই চক্রটি আগে জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নামের প্রতিষ্ঠানে বুথের মাধ্যমে করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন লোকের নমুনা সংগ্রহের চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠানটি আইইডিসিআর থেকে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমোদিত।’