বতসোয়ানায় ৩৫০ হাতির রহস্যজনক মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
বতসোয়ানায় ৩৫০ হাতির রহস্যজনক মৃত্যু
আফ্রিকার সব হাতির তিনভাগের প্রায় একভাগ রয়েছে বতসোয়ানায়। করোনার এই সময়ে সেখানকার তিনশ’রও বেশি হাতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
একসঙ্গে এত সংখ্যক হাতি কি কারণে মারা গেল তার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তবে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে আরও সপ্তাহখানেক লাগতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বিবিসি’র বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে অজানা কারণে সেখানকার ১৬৯টি হাতি মারা যায়। সব মিলিয়ে গত দুই মাসে ডেল্টা অঞ্চলে প্রায় ৩৫০টি হাতি অজ্ঞাত কারণে মারা গেছে।
মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, সব ক’টি হাতিরই মৃত্যু হয়েছে বন থেকে কিছু দূরে অবস্থিত স্থানীয় একটি জলাশয়ের কাছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে, ওই জলাশয়ের পানিতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ আছে বা বিষক্রিয়ার কারণেই হাতিগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউর কর্মকর্তা নিয়াল ম্যাককান বিবিসিকে জানায় যে স্থানীয় পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা মে মাসের শুরুর দিকে ব-দ্বীপের ওপর দিয়ে বিমান ভ্রমণ করার সময় কিছু হাতির মরদেহ চোখে পড়লে বসতোয়ানার সরকারকে বিষয়টি জানায়।
বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ফিস'এর খবর অনুযায়ী, এই হাতিগুলোর মৃত্যুর পেছনে চোরাশিকারিদের হাত থাকার সম্ভাবনা আগেই নাকচ করে দিয়েছে বতসোয়ানার সরকার কারণ হাতিগুলোর দাঁত কেটে নেয়া হয়নি।
এদিকে ড. ম্যাককানের মতে যেভাবে প্রাণীগুলো মারা যাচ্ছে - অনেকগুলো হাতিকেই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে - এবং অন্য হাতিগুলোকে চক্রাকারে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে, তাদের স্নায়ুবিক প্রক্রিয়া কোন ধরণের আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাতিগুলোর মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানা না যাওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে কোন রোগ মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে কিনা, সেই সম্ভাবনাও বাতিল করে দেয়া যাচ্ছে না - বিশেষ করে যখন জানা যাচ্ছে না যে পানির উৎস বা মাটি থেকে কোন ধরনের বিষক্রিয়া হচ্ছে কিনা।
কোভিড-১৯ মহামারি এখন প্রাণীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে - এই বিষয়টিরও উল্লেখ করেন ড. ম্যাককান।
তিনি বলেন, এটি পরিবেশগত বিপর্যয় - তবে এটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দুর্যোগেও পরিণত হতে পারে।