ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ২:৩০:০৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কুড়িগ্রামে বানভাসিদের ভোগান্তি বাড়ছে

ইউএনবি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি : ইউএনবি

ছবি : ইউএনবি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ভোগান্তি বেড়েছে বানভাসিদের। বেশির ভাগের কাছে এখনও পৌঁছায়নি ত্রাণসামগ্রী। আশ্রয়ের স্থানগুলোতে নেই বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা।

টানা ছয় দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী অববাহিকায় পানিবন্দী দুই লাখ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন পার করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামবাসীকে এক দিকে করোনার প্রাদুর্ভাব এবং অপর দিকে বন্যা মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ দুর্যোগের সময়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে দিনমজুর আর নিম্ন আয়ের মানুষদের। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে সারডোব, মোগলবাসা ও নুনখাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এছাড়া জয়কুমার, থেতরাই ও কালিরহাটসহ আরও ১২টি জায়গায় ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার। বিলীন হওয়ার পথে সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার অংশ অংশ। এখানে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলার নয় উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিতে নিমজ্জিত আছে ছয় শ হেক্টর জমির ফসল।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান জানান, বন্যায় এ পর্যন্ত চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন করে আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল ও এক কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে।