নর্থ মেসিডোনিয়ায় ট্রাক থেকে ১৪৪ বাংলাদেশী উদ্ধার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ৮ জুলাই ২০২০ বুধবার
ছবি: ইন্টারনেট
উত্তর মেসিডোনিয়ায় ১৪৪ জন বাংলাদেশীসহ ২১১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৬৩টি শিশুও রয়েছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তারা দেশটির দক্ষিণ গ্রিস সীমান্তে আঞ্চলিক সড়কে নিয়মিত টহলের সময় একটি ট্রাকে তাদের সন্ধান পায়। পুলিশ ট্রাকটির চালকেকে গ্রেফতার করেছে। তিনি একজন মেসিডোনিয়ান।
দেশটির পুলিশ মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) জানিয়েছে, সীমান্তে কাজ করা পুলিশের ওই সদস্যরা সোমবার মধ্যরাতে গেভজেলিজা শহরের কাছে ট্রাকটি থামালে এর মাঝে অভিবাসীদের দেখতে পায়। এদের মধ্যে ৬৭ জন পাকিস্তানিও রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের আটক দেখিয়েছে পুলিশ এবং তাদেরকে গেভজেলিজার একটি ট্রানজিট শেল্টার কেন্দ্রে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরু থেকেই করোনা মহামারির কারণে গ্রিসের সঙ্গে উত্তর মেসিডোনিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানবপাচারকারী চক্রগুলো ওই এলাকায় এখনও সক্রিয় রয়েছে। এসব চক্র অভিবাসীদের অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে এরপর উত্তরের দিক থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে সহায়তা করে আসছে। প্রতি বছরই যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দরিদ্র দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে গ্রিস হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমায় হাজার হাজার অভিবাসী ও শরণার্থী।
এদিকে, মঙ্গলবার ২৫ জন অভিবাসীকে অন্যত্র স্থানান্তর করেছে গ্রিস। ইউরোপীয় দেশগুলোতে স্থানান্তর কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি জনবহুল শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তাদের পর্তুগালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ২৫ জনের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর। ইউরোপে তাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন থাকে না। তবুও তারা বিপজ্জনকভাবেই ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল। এদিকে ২৫ শিশুর আরও একটি অভিবাসী দলকে বুধবার এথেন্স থেকে ফিনল্যান্ডে পাঠানোর কথা রয়েছে।
বর্তমানে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কমপক্ষে ৫ হাজার ২শ শরণার্থী শিশু গ্রিসে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে অনেকেই বেশ খারাপ অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: আলজাজিরা
-জেডসি