ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৬:৪৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নকল মাস্ক সরবরাহ, শারমিন জাহান ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২০ শনিবার

শারমিন জাহান ৩ দিনের রিমান্ডে

শারমিন জাহান ৩ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারি রেজিস্ট্রার ও অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে তাকে এ রিমান্ডে নেয়া হয়।

আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শারমিন জাহানকে আজ আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে শারমিন জাহানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার প্রধান উপ-কমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন শারমিনের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বলেন, শুক্রবার রাতে শাহবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শারমিনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

নকল ও ত্রুটিপূর্ণ মাস্ক সরবরার্হে অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএমএমইউ’র প্রক্টর বাদি হয়ে এ মামলা করে।

শারমিনের সরবরাহকৃত মাস্কের কারণে করোনা চিকিৎসায় জড়িত ডাক্তার ও নার্সসহ কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

শারমিন জাহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জের গোহালকান্দায়।

মামলায় বিএসএমএইউয়ের প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ জানান, গত ২৭ জুন শারমিন জাহানকে ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যাদেশের বিপরীতে তিনি ৩০ জুন প্রথম দফায় ১ হাজার ৩০০টি, ২ জুলাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৪৬০টি ও ১ হাজার এবং ১৩ জুলাই চতুর্থ দফায় ৭০০টি মাস্ক সরবরাহ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার মাস্কে কোনো সমস্যা ছিল না। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় লট বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পাওয়া যায় এবং মাস্কের গুণগত মান স্পেসিফিকেশন অনুযায়ি পাওয়া যায়নি। কোনো মাস্কের বন্ধনি ফিতা ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে, কোনো কোনো মাস্কের নিরাপত্তা কোড ও লট নম্বর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে নকল বলে জানা গেছে।