ত্যাগের মহিমায় দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১ আগস্ট ২০২০ শনিবার
ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই পবিত্র দিনে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজছেন মুসলমানরা। বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।
শনিবার সকাল সাতটায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছাড়াও সাধারণ অনেক মুসল্লি অংশ নেন। এছাড়া জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের আরও পাঁচটি জামাত।নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ ও দেশের কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এ সময় ইমামের সঙ্গে মুসল্লিরা আমিন আমিন ধনি দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।করোনার কারণে নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকলেও পরস্পরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে সুরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আজহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় নয়।’ গরু, মহিষ, উট, ভেড়া. ছাগল, দুম্বাসহ যে কোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যায়।
সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধনি-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি মুসলিম উম্মার শান্তি এবং করোনা ও বন্যা থেকে মুক্তির প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ আদায়ের পর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
-জেডসি