ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আর এই অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
আসামিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ করেন, তারা এ মামলার কাগজপত্র হাতে পাননি। এ কারণে তারা মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেননি। এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ধার্যের আবেদন করেন তারা।
এ আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ। তিনি আদালতকে বলেন, এটি একটি আলোচিত মামলা। এ মামলার অন্য আসামিরা মামলার কাগজপত্রের কপি পেয়েছেন। যারা কাগজপত্র পাননি, সেটি তাদের ব্যর্থতা। আমরা চাই– আজ এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হোক। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য বেলা আড়াইটার সময় ঠিক করেন।পরে বিকালে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।
এদিকে, এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একসঙ্গে আদালতে আনা হয় তাদের। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হকের সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের হোতা হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।
গত ১৩ আগস্ট একই আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পরে আসামি পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানির জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অভিযোগপত্রটি দেখার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত তা বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে আসে।
অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূলহোতা ও বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অন্য ছয় আসামি হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ও জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে করোনার ভুয়া রিপোর্টদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
-জেডসি
