ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১০:৩৮:৪৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

এবারের দুর্গাপূজা উদযাপনে ২৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এবারের দুর্গাপূজায় প্রতিমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না।বুধবার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে ২৬টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া ও ২২ সেপ্টেম্বর শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি নির্দেশনার আলোকে আসন্ন মহালয়া ও দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ২৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. মহালয়া অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করতে হবে।

২. প্রতিমা তৈরি করে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. মন্দির বা পূজা মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. দর্শনার্থী, ভক্ত ও পুরোহিত সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং সকল দর্শনার্থীকে কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৫. পূজা মন্দির/মণ্ডপে নারী ও পুরুষের আলাদা যাতায়াত ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৬. বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনের জন্য কার্ড/ব্যান্ডধারী অধিক সংখ্যক নিজস্ব নারী-পুরুষের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে।

৭. সন্দেহভাজন দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখুন। নারীর স্বেচ্ছা সেবকদের মাধ্যমে নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখুন।

৮. আতশবাজি ও পটকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. মন্দির/মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আর্থিক সঙ্গতি সাপেক্ষে সিসি ক্যামেরা সংযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১০. ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য সংগীত বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. উচ্চ শব্দের কারণে জনসাধারণের মধ্যে যাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয় এজন্য মাইক/পিএ সেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। তবে পুজোর অংশ হিসেবে ঢাক-ঢোল-কাসা এ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করা যাবে।

১২. কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।

১৩. কোনো অবস্থাতেই জনসমাগমের কারণে সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি যাতে উপেক্ষিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

১৪. মণ্ডপ/মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এবং বিসর্জন স্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১৫. মন্দির/পূজা মণ্ডপ প্রয়োজনের অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় অবস্থান না করার নিয়ম মেনে চলুন।

১৬. সন্ধ্যার পর দর্শনার্থী প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

১৭. সকল প্রকার আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

১৮. সম্ভব হলে বাসাবাড়িতে থেকে যাতে ভক্তরা অঞ্জলি দিতে পারে সেজন্য ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে স্বল্পসংখ্যক ভক্তকে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একাধিকবার অঞ্জলি প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১৯. যেসব ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অস্থায়ী প্যান্ডেল দুর্গাপূজা করা হবে সেসব ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মেনে পূজা করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

২০. পূজার দায়িত্ব পালনরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করুন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করুন ও সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বর মন্দির প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখতে হবে।

২১. পূজাকালীন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মন্দির/মণ্ডপ কেন্দ্রিক শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে।

২২. মন্দির/মণ্ডপ কেন্দ্রিক ফোকাল পয়েন্ট নির্বাচন করবেন এবং তার/তাদের মোবাইল নম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় সরবরাহ করুন।

২৩. কোনো প্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।

২৪. অনাকাঙ্ক্ষিত ও যেকোনো দুর্ঘটনার সংবাদ তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানায় ও কেন্দ্রীয় কমিটির মনিটরিং সেলে জানাতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।

২৫. প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে হবে।

২৬. বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সকল স্তরের শাখা কমিটির আওতাধীন সকল মন্দির/মণ্ডপ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবেন। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরিষদের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবেন।

-জেডসি