ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৩:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রাহাত খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২০ শনিবার

রাহাত খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

রাহাত খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক রাহাত খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার রাতে এক শোক-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে রাহাত খানের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘তার (রাহাত খান) মৃত্যুতে এইসব অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
একুশে পদক প্রাপ্ত রাহাত খান গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে তার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার মরদেহ আনা হবে।
রাহাত খান ১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের খান পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা জীবন শেষে রাহাত খান ময়মনসিংহ জেলার নাসিরাবাদ কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাহাত খান ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৩), সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫), সুফী মোতাহার হোসেন পুরস্কার (১৯৭৯), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২), ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮) এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (১৯৯৬) পেয়েছেন।
বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনে রাহাত খান কথাশিল্প, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগরে পরিণত হন। ১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘অনিশ্চিত লোকালয়’ প্রকাশিত হয়। তার পরবর্তী উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খোলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল ইত্যাদি।