ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ২০:৪৯:৫২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হতে পারে ১২০ কোটি মানুষ: আইইপি

ডেস্ক রিপোর্ট

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:১১ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আগামী ৩০ বছরে অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে ১২০ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে নতুন এক বিশ্লেষণে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক নীতিনির্ধারণী আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত সন্ত্রাসবাদ ও শান্তি নিয়ে সূচক প্রকাশ করে থাকে।

নতুন এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা এক হাজার কোটিতে পৌঁছাবে। ফলে বিশ্বব্যাপী সহিংসতা বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে বাড়বে সম্পদের উৎস নিয়ে সংঘর্ষও। বর্তমানে ১২০ কোটি মানুষ বসবাস করে সাব-সাহারান আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে। এই মানুষগুলোর অবস্থা তুলনামূলক অরক্ষিত। ২০৫০ সাল নাগাদ এই মানুষগুলো তাদের নিজ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হতে পারে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে পরিবেশ ও সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় তিন কোটি মানুষ।

এ প্রসঙ্গে আইইপির প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ কিলিলিয়া বলেন, এর একটি ব্যাপক সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে। এই প্রভাব যে শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর পড়বে, এমনটা নয়। উন্নত দেশগুলোর ওপরও এর প্রভাব পড়বে। কারণ, এই বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে শরণার্থীদের একটি বড় অংশ উন্নত দেশগুলোয় যাওয়ার চেষ্টা করবে।

আইইপির গবেষণা অনুসারে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো চরম খাওয়ার পানির সংকটে পড়বে। এ ছাড়া পাকিস্তান, ইরান, মোজাম্বিক, কেনিয়া ও মাদাগাস্কারের মতো দেশগুলো হুমকির মুখে পড়বে। এ ছাড়া সংকটগুলো মোকাবিলার ক্ষমতাও কমে যাবে দেশগুলোর।

৯০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশগুলো বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও পরিবেশগত হুমকিতে রয়েছে। এই হুমকি মোকাবিলার ইতিবাচক দিকগুলো দিন দিন কমে আসছে। অর্থাৎ দেশগুলো বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্টিভ কিলিলিয়া বলেন, ৫০ বছর আগে যে পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ছিল, তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৩০ বছরে খাদ্যের চাহিদা বর্তমানের তুলনায় ৫০ শতাংশ বাড়বে। সূত্র : রয়টার্স

-জেডসি