ইউএনও ওয়াহিদা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন ‘শঙ্কামুক্ত’
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে। পা নাড়াতে না পারলেও তিনি তার অবশ ডান হাতের কনুই পর্যন্ত তুলতে ও নাড়তে পারছেন। তাকে এখন অনেকটা ‘শঙ্কামুক্ত’ বলা যায় বলে জানান চিকিৎসকরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার ও চিকিৎসা সম্পর্কে সর্বশেষ এ তথ্য জানান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় যে অপারেশন করা হয়েছিল সেখানকার সেলাইগুলো আজকে আমরা কেটেছি। অপারেশনের জায়গাগুলো ভালো আছে। যেসব জায়গায় সেলাই কেটেছি সেসব স্থানও ভালো আছে।’
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বলেন, ‘আমরা এখনো তার সব ধরনের খাবার অ্যালাউ করিনি। তবে তিনি সলিড খাবার খাচ্ছেন। তার ব্লাড প্রেসার, সেন্স স্বাভাবিক রয়েছে।’
ইউএনও ওয়াহিদাকে এখনো বেডে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, ‘আরও দু-একদিন অবজারভেশনে রাখা হবে। আপাতত কেবিনে স্থানান্তর করছি না। কারণ তাকে কেবিনে স্থানান্তর করলে অনেক বেশি ভিজিটর এখানে ভিড় করবেন। সে ক্ষেত্রে তার ইনফেকশনের শঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য আমরা তার শারীরিক অবস্থা বুঝে আরও দু-একদিন পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার অবশ ডান হাতের কনুই পর্যন্ত অংশের উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নতির জন্য এখানে দিনে তিন-চারবার তার ফিজিওথেরাপি চলছে।’
ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, ‘তাকে অনেকটা আশঙ্কামুক্ত বলা যায়। তবে তিনি যেহেতু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, সে কারণে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো জটিলতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এটা বলতে পারি, তার স্বাস্থ্যগত আর কোনো জটিলতা নেই। তার শুধু উন্নতির অবশিষ্ট শুধু ডান হাত ও পা। মোটামুটি তিনি শঙ্কামুক্ত।’
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাটের ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে রংপুরের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। ওইদিন রাতেই জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে সফলভাবে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।