কুমিল্লার দিশাবন্দে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
ইউএনবি
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
কুমিল্লায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
কুমিল্লার শহরতলীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের দিশাবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চার বছর আগে প্রবাসী দিশাবন্দ মধ্যপাড়া এলাকার সরকার বাড়ির ফরিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের দৈয়ারা গ্রামের শেখ বাড়ির মমতাজ মিয়ার মেয়ে রুবি আক্তার সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর সাইফুল বিদেশ চলে যান। তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
সাইফুল ইসলামের মা শিরিন বেগম ও বাবা ফরিদ মিয়া জানান, ‘তাকে নিজের মেয়ের মতই আমরা দেখেছি। আমাদের সাথে তার কোনো বিবাদ নেই। রুবির একটু রাগ বেশি। বাবার বাড়ি যেতে না দিলে প্রায় আত্মহত্যার হুমকি দিত। আমরা তাকে বুঝাতাম।’
‘গতকাল আমার মেয়ে তাহমিনার সাথে তার কথাকাটাকাটি হয়, দিনেই তা সমাধান হয়ে যায়। বিকালে রান্না করেছে। রাতে একসাথে খেয়েছি ঘরের সবাই। সকালে নাস্তা করে বউ তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। ১৫-২০ মিনিট পর একটা শব্দ শুনতে পাই, রুবি রুবি বলে ডাকি দরজা খুলে না। ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি, গলায় কাপড় পেছিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে আমরা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই,’ বলেন তারা।
রুবির বোন রুজি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘ছেলের পরিবার যৌতুকের জন্য আপুকে প্রায় নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার তাকে প্রচণ্ড নির্যাতন করে, বাবা গিয়ে সব সমাধান করে দিয়ে এসেছে।’
নিহতের ভাই জাহিদ হাসান বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। তারা আমার বোনকে নির্যাতন করত। আমরা এ হত্যার বিচার চাই। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, নিহত রুবির পরিবার থেকে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে অবস্থায় আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।