ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৫:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কবরস্থানে নেয়ার পর জানা গেল কন্যাশিশুটি জীবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

কবরস্থানে নেয়ার পর জানা গেল কন্যাশিশুটি জীবিত

কবরস্থানে নেয়ার পর জানা গেল কন্যাশিশুটি জীবিত

হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবেই একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন শাহিনুর বেগম (২৭)। তবে নবজাতককে জন্মের পরই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুর সনদসহ প্যাকেটে করে শিশুটিকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ‘মৃতদেহ’ দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে গেলে হঠাৎ তা নড়ে উঠে। শিশুটি জীবিত বুঝতে পেরে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আজ শুক্রবার সকালে এমন ঘটনা ঘটে। নবজাতকের বাবা ইয়াছিন পেশায় বাসচালক। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালঙ্গা গ্রামে। পরিবার নিয়ে ঢাকায় তুরাগ ধউর নিসাতনগর এলাকায় থাকেন।

জানা গেছে, গত বুধবার শাহিনুর বেগমকে ঢামেকের গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন ইয়াসিন। চিকিৎসকরা জানান, শাহিনুরের প্রেসার হাই। চিকিৎসকদের পরামর্শে ওইদিন রাতেই তাকে লেবার রুমে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে দুদিন চেষ্টার পর আজ ভোর পৌনে ৫টার দিকে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শাহিনুর।
 
চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি মৃত। মায়ের পেট থেকেই মৃত অবস্থায় তার জন্ম হয়েছে। পরে নিয়মানুযায়ী মৃত্যুর সনদও দেওয়া হয়।

শিশুটির বাবা ইয়াছিন বলেন, ‘মৃতদেহ ভেবে আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাই। এ সময়ই হঠাৎ নড়ে ওঠে কোলের সন্তান। বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আশপাশের লোকজনও তা দেখেন। তারা বলেন, সন্তান জীবিত। পরে দ্রুত আবারও হাসপাতালে নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি দ্রুত হাসপাতালে ছড়িয়ে পরে। এতে পুনরায় ভর্তির জন্য কোনো বেগ পোহাতে হয়নি। তাকে নবজাতক ইউনিটের আইসিইতে নেওয়া হয়েছে।’

ইয়াছিন আরও বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে যে সনদ দেওয়া হয়েছিল তা আবার নিয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। এটি আমার দ্বিতীয় সন্তান। ইসরাত জাহান (১০) নামে তার আরেকটি একটি সন্তান আছে।’

ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নবজাতকটি জীবিত আছে, ভালো আছে। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন এমনটি হয়েছে তা খুঁজে দেখব।’