ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৬:৩০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: দেলোয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে তিনটি মামলায় ১৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

রবিবার সকালে রিমান্ড চেয়ে দেলোয়ারকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মীর হোসেন।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাইফুল ইসলাম হারুন জানান, সকালে দেলোয়ারকে ধর্ষণ মামলায় সাত দিন, অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন ও বিস্ফোরক মামলায় পাঁচ দিনসহ মোট ১৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক শুনানি শেষে ধর্ষণ মামলায় পাঁচ দিন ও অপর দুটি মামলায় দুই দিনসহ দেলোয়ারের মোট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও বেগমগঞ্জ থানার দুটি হত্যা মামলায় দেলোয়ার হোসেনকে সমন ছাড়া গ্রেপ্তার (শোন এরেস্ট) দেখানো হয়েছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সাথে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন। বিষয়টি লক্ষ্য করেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে ঢুকে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করেন। মূলত ওই নারী দেলোয়ারের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গৃহবধূর দায়ের করা ধর্ষণ, র‌্যাবের করা বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা তিনটি বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

এদিকে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়েছে। ধর্ষণে শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করে ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

-জেডসি