ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৫:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কুমিল্লায় তুলির আঁচড়ে সাজছে দেবী দুর্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

কুমিল্লায় তুলির আঁচড়ে সাজছে দেবী দুর্গা

কুমিল্লায় তুলির আঁচড়ে সাজছে দেবী দুর্গা

পূজা ঘিরে কুমিল্লার মন্দির প্রাঙ্গণে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। ইতোমধ্যে কুমিল্লার বেশির ভাগ প্রতিমা তৈরির অবকাঠামোর কাজ শেষ। এখন দেবী দুূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিনরাত রং-তুলির কাজ করে যাচ্ছেন শিল্পীরা। জেলার পূজা মন্ডপগুলোর কাজও শেষের দিকে। এবার আলোকসজ্জার ব্যবস্থা না থাকলেও আয়োজনের কোনো কমতি নেই। এবার জেলার ১৭টি উপজেলার প্রায় ৮০৮টি মন্ডপে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জেলার বিভিন্ন মন্দিরে দেখা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিমার অর্ডার অনেকটাই কমে গেছে। জেলার সদর, চান্দিনা, দাউদকান্দি, বরুড়া উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে খড় আর কাদামাটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুরু হয়েছে রং তুলির কাজ। রং তুলিতে সাজানো হচ্ছে দেবী দুর্গাকে নানা রঙে । পঞ্জিকা মতে আগামী রোববার শুরু হয়ে ৫ দিনব্যাপী চলবে হিন্দু ধর্মের সবচয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুূর্গাপূজা। প্রতিমা শিল্পীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে রং তুলির কাজ করছেন।
বরুড়া উপজেলার প্রতিমা তৈরির কারিগর (৬৫) নায়চন চন্দ্র পাল বাসসকে বলেন, প্রতি বছর ২০-২৫টি প্রতিমা তৈরি করে থাকি। কিন্তু এ বছর মাত্র ১৫টি প্রতিমার কাজ করছি। করোনা প্রভাবে ১৫টি প্রতিমার কাজ করেছি। বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রায় ৪০ বছর যাবৎ এ পেশায় জড়িত রয়েছি। এরকম অবস্থা আগে কখনও দেখিনি। করোনার কারণে এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যাও কমে যাওয়ায় প্রতিমা বিক্রিও কমে গেছে।
কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হবে। শুধু সাজসজ্জার সামান্য কাজ বাকি। সামনে যে সময় আছে তাতে আমরা সময় মতো সব কাজ শেষ করতে পারব।
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন জানান, পূজায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সাধ্য অনুযায়ী রাখতে হবে। একসঙ্গে জটলা পাকানো যাবে না, সন্ধ্যা আরতি চলাকালে কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। প্রতিটি পূজামন্ডপে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও আনসারসহ মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক পূজামন্ডপগুলো নজরদারিতে রাখবে। পাশাপাশি সবকটি পূজা মন্ডপ গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে বলে তিনি জানান।

সূত্র: বাসস