ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ৩:১৪:১৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মহামারির প্রভাবে মানসিক অবসাদে স্বাস্থ্যকর্মীরা: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মহামারি নিয়ে এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে মহামারি নিয়ে কাজ করা প্রায় ২৩.৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী পিটিএসডি বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। দুশ্চিন্তার বিষয় হল এই যে এই রোগের হাত থেকে এখনই মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

ইংল্যান্ড পূর্ব অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণাটি পরিচালনা করেন।

প্রায় এক বছর হতে চলল কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু যে সব স্বাস্থ্যকর্মী একদম সামনে থেকে এই রোগ নিয়ে লড়াই করছেন, সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মানুষকে, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদের সব লক্ষণ হয় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, নয় তো কোন না কোন এক সময় প্রকট হচ্ছে। তবে শুধু করোনার ক্ষেত্রেই নয়, এর আগে সার্স ও মার্স মহামারির সময়ও একই বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। সেই সময়েও যে সব স্বাস্থ্যকর্মীরা এই রোগের ভাইরাস-আক্রান্তদের নিয়ে দিনরাত কাজ করেছেন, তাদের মানসিক চাপ ছিল সাঙ্ঘাতিক।

গবেষণা বলছে যে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার এক বছর পরেও স্বাস্থ্যকর্মীরা পিটিএসডির মতো মানসিক অসুখ, অবসাদ, উত্তেজনা ইত্যাদির শিকার হতে পারেন।

নরউইচ মেডিকাল স্কুলের অধ্যাপক রিচার্ড মেজার স্টেডম্যান বলছেন, নার্স, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী বা হাসপাতালের সমস্ত কর্মীরা কোভিড ১৯-এর রোগীদের নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যস্ত আছেন। ফলে তাদের মধ্যে এক মানসিক অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

যে সব তথ্য এই গবেষকরা পেয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে যখন মহামারি চরমে পৌঁছেছে তখন ৩৪.১% স্বাস্থ্যকর্মী অসম্ভব মানসিক অবসাদ ও উত্তেজনায় ভুগেছেন। যদিও সেটা ছয় মাস পর ১৭.৯%-তে নেমে এসেছে, কিন্তু আবার এক বছর পর এক লাফে বেড়ে গিয়ে ২৯.৩% হয়ে গিয়েছে।

সোফি অ্যালান, যিনি একজন শিক্ষানবিশ ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট, বলছেন যে, দেখা গিয়েছে যখন স্বাস্থ্যকর্মীরা সব চেয়ে বেশি অবসাদগ্রস্ত হয়েছেন, তখন মহামারির গ্রাফ চরমে পৌঁছেছে। কিন্তু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার এক বছর পরেও একই রকম অবসাদের চিহ্ন তাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে, তা দূর হচ্ছে না।

যারা এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা আশা করছেন যে কোভিডরোগীদের সারিয়ে তোলা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা এদের সারিয়ে তুলছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটাও হেলাফেলা করার মতো বিষয় নয়। তাই আশা করা যাচ্ছে যে এই গবেষণা গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে আলোকপাত করবে এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

-জেডসি