মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ কর্মকর্তা এএসপি আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় তারা পরিচালকের কক্ষে তালা মেরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে কয়েক ঘণ্টা ধরে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা।ফলে চরম ভোগান্তীতে রয়েছেন সেবা প্রত্যাশী রোগীরা।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সবধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। বেলা সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখা শুরু হয়। তবে পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা তখনও প্রশাসনিক ব্লকে তাদের কক্ষে অবরুদ্ধ ছিলেন।
আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসার নামে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ডা. মামুনকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাকে গ্রেপ্তার করার আগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা দরকার ছিল, সেটা পুলিশ করেনি।
এদিকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের আন্দোলনে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবিগুলো হলো, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার অবৈধ। এর যথাযথ ব্যাখ্যা এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত হাসপাতালের কর্মীদের নির্ভয়ে কর্মপরিবেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া বিএপি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়শেনের নেতাদের উপস্থিত হয়ে কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তারা।
গত ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম। পরে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তাতে দেখা যায়, একদল ব্যক্তি হাসপাতালে যাওয়ার পর তাকে একটি রুমে নিয়ে মারধর করছেন। অভিযোগ ওঠে যে, এই মারধরের সময় ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন।
মামলায় হাসপাতালটির রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ড বয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ড বয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ড বয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ড বয় লিটন আহাম্মদ (১৮) ও ওয়ার্ড বয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
-জেডসি