করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহার নয়: ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২০ শনিবার
ছবি: ইন্টারনেট
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় মার্কিন ওষুধ কোম্পানি জিলিয়াড সায়েন্সের উৎপাদিত রেমডেসিভির ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছে, রেমডেসিভির ব্যবহারে রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি, মৃত্যুর ঝুঁকি কমা বা তার ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন না হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় সম্প্রতি যে দুইটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে, রেমডেসিভির তার একটি। কিন্তু গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়াড সায়েন্সেস ইনকর্পোরেশন উৎপাদিত রেমডেসিভিরের প্রভাব নিয়ে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়ে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করে।
সেখানে সংস্থাটির গবেষকরা জানান, তাদের গবেষণায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের হাসপাতালে অবস্থানের সময় কমানো বা মৃত্যু ঠেকাতে ওষুধগুলো সামান্যই প্রভাব রেখেছে বা কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেনি।
বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর উপর ওই ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
ওই ট্রায়ালে রেমডেসিভির ছাড়াও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, এইডস নিরোধী লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং ইন্টারফেরনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
গিলিয়াডের পক্ষ থেকে সলিডারিটি ট্রায়ালের ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একাধিক গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে হাসপাতালে ভর্তিকৃত করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসায় অনুমোদিত ভেকলারি (রেমডেসিভিরের ব্র্যান্ড নাম)। বিশ্বে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে এবং চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসায় প্রথম ও একমাত্র অনুমোদিত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ওপর নির্ভর করছে তখন ডব্লিউএইচও’র এমন নির্দেশনাতে আমরা হতাশ।
গত এপ্রিলে রেমডেসিভিরের সহায়ক ভূমিকার ‘সুস্পষ্ট’ প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে জরুরি অনুমোদন পায় রেমডেসিভির; এরপর থেকে বিভিন্ন দেশও ইবোলা ঠেকাতে তৈরি হওয়া এই ওষুধ কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসায়ও রেমডেসিভির ব্যবহার করা হয়।
-জেডসি