ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৬:৪৯:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ডাকটিকিট ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্মারক: মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

ডাকটিকিট ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্মারক: মন্ত্রী

ডাকটিকিট ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্মারক: মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বরেণ্য ব্যক্তিদের ইতহাসের স্মারক হিসেবে কাজ করে।

তিনি বলেন, ‘চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকিটের প্রয়োজনীয়তা আছে এবং থাকবে। জ্ঞানার্জনের জন্য ডাকটিকিটে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া দুষ্কর। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকিট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদেরকে স্মারক ডাকটিকিটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে।’

ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সোসাইটি আয়োজনে শনিবার রাতে স্মারক ডাকটিকিটের প্রেক্ষিত বিষয়ক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ ঘটনা যেভাবে স্মারক টিকিটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতেও স্বাধীনতার ঘটনাবহুল বিষয়গুলো নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হবে। এই সব স্মারক ডাকটিকিট ইতিহাস জানার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে; এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

তিনি বলেন, ‘ডাকঘরের সাথে দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সম্পর্ক আছে। ২০২১ সালের পর ডাকঘরের বিদ্যমান চিত্র আর থাকবে না। ডাকঘর হবে অতীতের মতোই মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ঠিকানা।’

বক্তারা স্মারক ডাকটিকিট একটি জাতির ভবিষ্যত জ্ঞান সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের পাহাড়, ঝর্ণাসহ নানা প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা যায়। এর ফলে দেশে বিদেশে এর চাহিদা আরও বাড়বে। তারা ডাক অধিদপ্তরের ফিলাটেলিক ব্যুরোকে আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সংগঠনের নেতা হাবিবুল্লাহ আলম বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট সংগ্রাহক আনোয়ারুল কাদের, লস্কর ইফতেখার, অন্তরা ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।