বরিশালে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৩৪ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
বরিশালে আট বছরের শিশুকে ধষর্ণের পর হত্যা ও তার মরদেহ গুমের ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালু নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে আসামির ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লাখ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কালু বরিশাল নগরীর এয়াপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের গনপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহাব খানের ছেলে।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আট বছরের শিশু সীমাকে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড, অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন এবং মরদেহ গুমের ঘটনায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লা টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
উন্নয়ন সংস্থা আভাসের আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাচ্চু বলেন, বাদীর পক্ষ হয়ে আমরা এই আইনি সহায়তা করেছি। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সীমা আক্তার প্রতিদিনের মতো তার বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ হওয়ায় সে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আসামি কালুর বাড়ির শৌচাগারে যায়। এ সময় কালু ওই শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। পরে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির গোরস্তানে ফেলে রাখে।
ঘটনার দুদিন পর ১৩ মার্চ ওই গোরস্তান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে আসামির নাম উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান মুকুল আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় প্রদান করেন।
-জেডসি