ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৪৯:৩৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দেশে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

দেশে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু কাল

দেশে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু কাল

নীতিমালা অনুমোদনের আড়াই মাস পর আগামীকাল শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) থেকে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১০টি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার তিনি বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কার্যক্রম চালাতে ইতোমধ্যে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) থেকে এই কার্যক্রম শুরু করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তারা কাল ফিরে যাবেন যার যার জেলায় এবং প্রস্তুতি নেবেন। শনিবার থেকে কাজ শুরু করবেন।”

প্রাথমিকভাবে গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জ, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মেহেরপুর, সিলেট, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালী জেলায় অ্যান্টিজেট টেস্ট শুরু হচ্ছে।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, প্রাথমিকভাবে সেসব জেলাকে অ্যান্টিজেট টেস্ট শুরুর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জেলায় এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। এই দশটি জেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আরও দশটি জেলায় টেস্ট শুরু করব। এভাবে ধাপে ধাপে সারাদেশে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, যাদের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা লোপ পাওয়া) আছে, প্রাথমিকভাবে তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। আমরা আগেই নীতিমালা করেছি। যদি কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসে, আমরা জানব, তার সংক্রমণ হয়েছে। আর নেগেটিভ এলে তখন তার আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে।”

কারও দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তা দ্রুততম সময়ে জানার পদ্ধতি হল অ্যান্টিজেন টেস্ট। এজন্য নাক বা মুখ গহ্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়, খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিও নেই। সেখানে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কি না।

গত মার্চে বাংলাদেশে নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর এ পর্যন্ত শুধু আরটি-পিসিআর টেস্টই চলে আসছিল। তবে পরীক্ষায় গতি আনতে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরুর ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রেক্ষাপটে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নতুন করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দেয় সরকার।