ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৮:১৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিশ্বে বায়ুদূষণে ফের শীর্ষে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বায়ুমান ফের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী।ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সূক্ষ্ম ধূলিকণা ছিল ৩২৯.২ মাইক্রোগ্রাম। যার অর্থ, ঢাকায় বাতাসের মান ‘বিপজ্জনক’।

বায়ুর মান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাই এয়ার ভিজুয়াল এই তথ্য জানিয়েছে।প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

এয়ারভিজুয়াল জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বায়ুমান ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় সাতগুণ বেশি দূষিত।

অন্যদিকে, বৈশ্বিক দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে ঢাকা এবং দুই নম্বরে অবস্থান করছে দিল্লি। তৃতীয় অবস্থানে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল।

একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এই শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজধানীতে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষণের ফলে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি বেড়ে গেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর মাত্রার বায়ূ দূষণের কারণে ফুসফুসকেন্দ্রিক নানা রোগ বিস্তার ছাড়াও হৃদরোগ, শ্বাসজনিত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও জেনেটিক পরিবর্তনজনিত নানা অজানা রোগে আরো বেশি বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি আরো ভয়াবহ।

-জেডসি