গাছে গাছে পাখির নীড় বেঁধে দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ
ইউএনবি
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
ছবি : ইউএনবি
গাছের ডালে ডালে ঝোলানো হচ্ছে পাখিদের নীড়। পাখির অভয়ারণ্য গড়তে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রতিটি গাছের ডালে নীড় বেঁধে দিচ্ছেন জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস।
সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ লাইনের সামনে থেকে গাছের ডালে কলস ও বাঁশের তৈরি পাখির বাসা বেঁধে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
‘পুলিশের বিচরণ যেখানে, পাখিদের অভয়ারণ্য সেখানে’ এই স্লোগানে পাখিদের বাসা গড়ার উদ্যোগ নেন পুলিশ কর্মকর্তা। জেলার ৫টি থানা, একটি ফাঁড়ি, ৩০টি ক্যাম্প ও ৩৯ স্থাপনায় পাখিদের অবাধ বিচরণে পাঁচ হাজার মাটির কলস ও বাঁশের খুপড়ি বেঁধে দেয়া হচ্ছে। যেখানে ২০-২৫ হাজার পাখি বাস করতে পারবে।
জেলা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দী ছিল তখন তিনি প্রতিবেলায় পাখিদের খাবার ব্যবস্থা করে দিতেন। এখনও তিনি পাখিদের সেই খাবার সরবরাহ করেন। তবে এবার পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান গড়তে নিজ উদ্যোগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়েছে।
বাসা বেঁধে দেয়ার ফাঁকে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ এখন অনেক মানবিক। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নয় বিভিন্ন সামাজিক কাজেও পুলিশের অংশগ্রহণ আশানুরূপ। সেই কাজের অংশ হিসেবে পশু পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদের দাবি রাখে। পুলিশ শুধু এখন জনতার নয় প্রাণীদেরও।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দীন ও মাহফুজ আহমেদ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন।
বেশ কিছুদিন আগে কুষ্টিয়ায় এমন পাখি প্রেমিক দুজনের কথা আলোচনায় আসে। ভালোবাসার এক নজির সৃষ্টি করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চা দোকানি ইছাহক আলী ও হোটেল মালিক আনন্দ দেবনাথ। ১৫ বছর ধরে অসংখ্য শালিক পাখিকে খাইয়ে আসছেন তারা।
এই করোনা মহামারির চরম সংকটকালেও এই দুই পাখি প্রেমির পাখিদের খাবার দেয়া একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। খাবারের জন্য প্রতিদিন শত শত শালিক পাখি মিরপুর পৌর শহরের ব্যস্ততম ঈগল চত্বরে ছুটে আসে। সেখানে মিতালী হয় মানুষ আর বুনো পাখির।
এমন উদ্যোগে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। ইছাহক আর আনন্দের মতো সবাই এগিয়ে আসলে বন্ধ হবে পাখি নিধন, রক্ষা পাবে জীববৈচিত্র্য-এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।
