অবৈধ সম্পদ: দুদকের রিমান্ডে পাপিয়া দম্পতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে দুদকের একটি দল এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে হাজির করে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ডিসেম্বর শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।
দুদকের আইনজীবী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে হাজির করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুরের দাবি জানান। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট দুদক ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে তাদের দুইজনের নামে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’-এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।
এদিকে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে পাপিয়া ও তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।
র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং স্বামীর নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এগুলোরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।
-জেডসি
