ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:১৯:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ফেব্রুয়ারিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দাপট বিশ্বজুড়ে চলমান। দেশেও আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) পেছানো হয়েছে। যদি সবকিছু অনুকূলে থাকে তাহলে আগামী বছরের জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হতে পারে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া জুলাই-আগস্ট মাসে নেয়া হতে পারে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পাশাপাশি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় নতুন বছরে বই উৎসবসহ শিক্ষা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দীপু মনি।

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের এইচএসসির ফলাফল নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে আপিল করা যাবে। পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। সহসাই এটি জারি করা হবে। ফলাফল প্রস্তুতের জন্য ইতোমধ্যে ৮ সদস্যের পরামর্শক কমিটি টিমে কাজ করছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময়কালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পড়ানোর উদ্যোগ নেবো, সেই চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে ২০২১ সালের জুন নাগাদ এই পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করবো। স্কুলগুলো খুলে দেয়ার চেষ্টা করবো। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি যেন নতুন সিলেবাসে ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে পারে।

দীপু মনি জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত হয়তো ক্লাসরুমে নিয়ে ক্লাস করানো হবে। কাস্টমাইজ সিলেবাস ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দিতে পারবো। জুলাই-আগস্ট নাগাদ এই পরীক্ষা গ্রহণের আশা প্রকাশ করছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ক্লাস হতে পারে। এ সময়ে পিছিয়ে পড়া সিলেবাস শেষ করা হতে পারে।

ডা. দীপু মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১২ দিন ধরে নতুন বই বিতরণ করা হবে। প্রতি ক্লাসে ৩ দিন করে বই বিতরণ হবে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে কোনোদিন বই নেবে সেটা ভাগ করে দেবে।

মন্ত্রী জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন বই বিতরণ করা হবে।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

-জেডসি