ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৩:০৮:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শীতে কাঁপছে উত্তরের মানুষ, বিপর্যস্ত জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে কমা অব্যাহত আছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদের মানুষ। ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর জনজীবন। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া লোকজন। পর্যাপ্ত সহায়তা না থাকায় কষ্টে আছেন অসহায় মানুষ৷ শীতজনিত রোগে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা ৷ হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা ৷

প্রায় এক সপ্তাহ যাবত ভূরুঙ্গামারীতে এরূপ অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা থাকছে চারিদিক। বিকেল হলেই পড়তে শুরু করে কুয়াশা। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকে আর তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন।

শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষসহ ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষের। শীতের কবল থেকে বাঁচতে তারা ভীড় করছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে। যাদের সামর্থ্য নেই তারা খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

রিকশা চালক নুরুল ইসলাম জানান, ঠাণ্ডার কারণে মানুষজন ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে।

চা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে সন্ধ্যায় দোকানে আগের মত খরিদ্দার আসে না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, শৈত্য প্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির বিভাগে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, শীত জনিত রোগ যেমন-সর্দি-কাশি, জ্বর ও এ্যাজমা রোগী আগের চেয়ে বেশি আসছেন। যার অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক নাগরিক।

কৃষি আবহাওয়া পর্যবেণাগার রাজারহাট কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আকাশ মেঘ মুক্ত হলে সূর্য দেখা যেতে পারে।

এদিকে, কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ৷ উত্তরের কয়েকটি জেলার কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন নিদারুণ শীত কষ্টে ৷ অসহায় জীবন যাপন করছেন খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষজন ৷ শীত বস্ত্রের জন্য প্রায় প্রতিদিন উপজেলা চত্বরে ভীড় করছেন শীতার্ত মানুষজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, প্রথম ধাপে দশ ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ ৪ হাজার ৬শ' কম্বল এবং দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দ আরো ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

-জেডসি