ঢাকা, শনিবার ২৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:৩৬:২৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বৈষম্যের সব দরজা ভেঙে ঢুকে গেছি: রোকেয়া হায়দার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৭:১৯ এএম, ১ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার

ঢাকায় এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার।

ঢাকায় এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার।

‘১৯৮১ সালে ভয়েস অব আমেরিকায় যোগ দিই। সেখানেও দেখি নারী-পুরুষের মধ্যে চরম বৈষম্য। ধনী দেশে, উন্নত দেশে এ বৈষম্য আরও প্রকট। তবে আমি কোনো বাধা মানতে রাজি নই। বৈষম্যের সব দরজা ভেঙে ঢুকে গেছি।’

কথাগুলো মার্কিন রাষ্ট্রীয় বেতার ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দারের। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শেয়ারিং মিটিং উইথ রোকেয়া হায়দার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম বেতারে স্থানীয় সংবাদ পাঠ দিয়ে শুরু। এরপর কিছুদিন রোকেয়া হায়দার বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে কাজ করেন। ভয়েস অব আমেরিকায় তাঁর ক্যারিয়ার ৩৬ বছরের। ২০১১ সালে তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান হন।

অনুষ্ঠানে রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘নারী সাংবাদিকেরা শুধু নারীবিষয়ক সংবাদ কাভার করবেন কেন? তাঁরা রাজনীতি, অপরাধ, খেলাধুলা থেকে সব বিষয়ে কাজ করবেন। সে জন্য অবশ্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

এরপর তিনি নারী সাংবাদিক হিসেবে তাঁর চ্যালেঞ্জের কিছু অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। সেখানে খেলাধুলা, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠানসহ বিখ্যাত মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণে কর্তব্যস্থল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, তা বলেন।

রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘কোনো কাজে নিজেকে যোগ্য মনে করলে, সব বাধা ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে।’ তবে যেকোনো বিষয়ে রিপোর্টিংয়ের মধ্যে খেলাধুলা নিয়েই কাজ করতে তিনি বেশি ভালোবাসেন।

নারীদের সাংবাদিকতা পেশায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্যও বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি। আর সংবাদ উপস্থাপকদের বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে এবং উচ্চারণের প্রতি নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সমাজ এখনো পুরোপুরিভাবে নারীদের জন্য তৈরি হয়নি। এমনকি নারীরাও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা দ্বারা আক্রান্ত। এ জন্য নারী সাংবাদিকদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক দরকার। যেখানে নারীরা হাতে হাত রেখে চলবেন আর পুরুষেরাও সহযোগিতা করবেন।