ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১৯:৫৮:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ইউল্যাব ছাত্রীর মৃত্যু, জবানবন্দি দিলেন প্রধান আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামির নাম- মর্তুজা রায়হান চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ওই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এছাড়া একই মামলায় গ্রেপ্তার নিহত ছাত্রীর বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এ মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি নুহাত আলম তাফসীরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার সাফায়েত জামিল নামের এক শিক্ষার্থী আদালতে আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনিই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি। তিনি মামলার আসামি হতে চান। তাকে এই মামলায় যেন গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ মামলার এজাহারে নাম থাকা আরাফাত নামের আসামি মারা গেছেন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহত ছাত্রীর বাবা। পাঁচ নম্বর আসামির তালিকায় একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৩০ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।

অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অজ্ঞাত বিষক্রিয়ার কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

আর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলছেন, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার অপর আসামি আরাফাত মারা গেছেন। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে।

-জেডসি