ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪৬:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দেশে বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ ফুল চাষের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শীতপ্রধান দেশে ফুলটি হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে এর দেখা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ফুলটির নাম টিউলিপ। প্রায় অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন। তাঁর বাগানজুড়ে ফুটেছে রাজসিক সৌন্দর্যের ফুল টিউলিপ।

সম্প্রতি ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয়বারের মতো টিউলিপ ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে তার বাগানে দোল খাচ্ছে বাহারি রঙের চোখ ধাঁধানো টিউলিপ। যা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে অনেক দর্শনার্থী।

ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, আমাদের দেশে এই ফুলটি প্রথম ফুটেছে। তাই আমি আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছি। এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসছে ফুল দেখার জন্য।

টিউলিপ চাষের বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিটি টিউলিপ ১৪০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে টিউলিপ চাষ করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছি।

দেলোয়ার বলেন, এ দেশে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ফুল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে ভিন্ন সৌন্দর্যের টিউলিপ ফুলের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপক চাহিদা আছে। বাংলাদেশের ফুলের বাজারে গোলাপসহ অন্যান্য ফুলের ভিড়ে ব্যাপকভাবে টিউলিপ ছড়িয়ে দিতে চাই। তাঁর বিশ্বাস, এ দেশে টিউলিপের বড় বাজার তৈরি করা সম্ভব। বড় পরিসরে উৎপাদনে যাওয়াও সম্ভব।

তিনি জানান, এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে জারবেরা ফুল চাষ শুরু করেছিলেন তিনিই। এখন জারবেরা ফুল বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চাষ হচ্ছে। জারবেরার ব্যবহৃত হচ্ছে এখন প্রায় সব অনুষ্ঠানে। সেটিও তিনি নেদারল্যান্ডস থেকে নিয়ে এসে বাংলাদেশ বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছিলেন। এসব চাষাবাদের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার।

ফুল চাষ বিষয়ে গাজীপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, আমরা সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে তারা বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারে।

বিদেশি এ ফুলের বাল্ব আনতে অনেক টাকা শুল্ক লাগে। তাই দেশে নজরকারা এ ফুলের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা চান সংশ্লিষ্টরা।


-জেডসি