ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ৮:৪৩:৩৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জয়পুরহাটে ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ নানা প্রকার তরমুজ চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রবিবার

জয়পুরহাটে ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ নানা প্রকার তরমুজ চাষ

জয়পুরহাটে ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ নানা প্রকার তরমুজ চাষ

জয়পুরহাটের মাটিতে এবার চাষ হয়েছে ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক প্রকার তরমুজ। দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা তরমুজে বাজার সয়লাব হলেও স্থানীয়ভাবে চাষ হওয়া তরমুজে লাভের আশা করছেন চাষিরা। জয়পুরহাট শহরের পাঁচুরচক ও হিচমি খুলি পাড়া এলাকায় এবার ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক প্রকার তরমুজ চাষ হয়েছে।
তরমুজ চাষি রুহুল কুদ্দুস জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মাচায় তরমুজ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হওয়া থেকে পাঁচুরচক এলাকায় দুই বিঘা ও হিচমি খুলি পাড়া এলাকায় চার বিঘা জমিতে এবার ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক প্রকার তরমুজ চাষ করেন। এতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। আসন্ন রমজান মাসে বাজারে এ তরমুজ বিক্রি করে ভালো লাভের আশা করছেন তরমুজ চাষি রুহুল কুদ্দুস। ফাল্গুন মাসে এসব চারা রোপণ করে মানচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরে মাচা তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করতে হয়। প্রতি বিঘায় গড়ে ১১শ তরমুজের চারা রোপণ করা হয়েছে। তরমুজের জালি যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য পলি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পোকার কারণে তরমুজের কিছু জালি নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান কৃষক রুহুল কুদ্দুস। পাঁচুরচক এলাকায় এ প্রথম তরমুজ চাষ করায় বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ আসছেন একনজর দেখার জন্য। দেখতে আসা আশিক হোসেন নামের এক যুবক জানান, এলাকায় এ প্রথম তরমুজ চাষ হয়েছে সেজন্য দেখতে এসেছি। এখানে সবুজ তরমুজের পাশি পাশি হলুদ জাতের তরমুজ চাষ হওয়ায় আকর্ষণ একটু বেশি। সকলে দেখতে আসছে তাই আমিও আসছি। অপরদিকে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা তরমুজে বাজার এখন সয়লাব। দামও কিছুটা নাগালের মধ্যে রয়েছে। এসব তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। স্থানীয় ভাবে চাষ হওয়া ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক জাতের তরমুজ সু-স্বাদু হওয়ায় চাহিদা কিছুটা বেশি তাই দামও তুলনা মুলক বেশি পাওয়া যায় বলে জানান তরমুজ চাষি রুহুল কুদ্দুস। রমজান মাসের শুরুতেই স্থানীয় ভাবে চাষ করা ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক প্রকার তরমুজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম. মেফতাহুল বারি জানান, জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে একশত বিঘার বেশি জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ হচ্ছে। এসব জাতের তরমুজ বিক্রি করে খরচ বাদেও বিঘা প্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে এমন আশা করা যায়। বাহির থেকে আসা তরমুজ শেষ হওয়ার পরেই স্থানীয় ভাবে এ তরমুজ বাজার জাত করায় দামটাও থাকে চড়া। তার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে রমজান মাস। সেই কারণে এবার লাভের আশা করছেন কৃষকরা।