ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৫:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮ রোগির মৃত্যু হয়েছে। বিগত এক বছরে এটি একদিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময়ে ৩০৫ জনের দেহে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল নগরীর পাঁচ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৩০৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭১ জন এবং বারো উপজেলার ৩৪ জন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৬ হাজার ৩৮০ জন। এর মধ্যে শহরের ৩৭ হাজার ২১৫ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ১৬৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীত ৮ জন, ফটিকছড়িতে ৫ জন, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৪ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন, আনোয়ারা, লোহাগাড়া ও বাঁশখাালীতে ২ জন করে এবং বোয়ালখালী, রাউজানে, সীতাকু- ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় ৮ রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ৪৪৫ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৩২৯ জন ও গ্রামের ১১৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা এখন ৩৫ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৪ হাজার ৭৮৫ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ৩০ হাজার ৩৫০ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২০ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৭ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গতকালের মৃতের সংখ্যা এক বছর এগারো দিনের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে চলতি মাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৬ জনে। করোনাকালের সর্বোচ্চ ৯ রোগীর মৃত্যু হয় গত ১০ এপ্রিল। তবে এদিন এ মাসের সর্বনি¤œ ২২৮ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ১১ এপ্রিল জেলার সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এদিন ৭ রোগীরও মৃত্যু হয়। গত ২ ও ১৪ এপ্রিল দু’দিন জেলায় করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় কম নমুনা পরীক্ষায় কম রোগী শনাক্ত হলেও সংক্রমণ হার পরীক্ষিত নমুনার এক-চতুর্থাংশের বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণের এ ক্রমবর্ধমাণ হারকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৬ জনসহ ৯০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১১৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৯ জনসহ ৩৮ জন ভাইরাসবাহক বলে শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৪ জনের মধ্যে গ্রামের ৬ জনসহ ২২ জন আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫৭টি নমুনায় গ্রামের ১টিসহ ২৩টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে একমাত্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে গ্রামের ১২ জনসহ ১৩২ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
এদিন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরন, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চমেকে ৩১ দশমিক ৯৩, চবি’তে ৫০ শতাংশ, সিভাসু’তে ৪০ দশমিক ৩৫ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।