ঢাকা, সোমবার ০৬, মে ২০২৪ ১৬:৪৩:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দেশে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু কমেছে ৯৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২১ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ থেকে যেন ম্যালেরিয়া মশা না আসে, সেজন্য সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে এখন পর্যন্ত ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল করবো। ২০২০ সালের রিপোর্টে দেখা যায়, দেশে ম্যালেরিয়া ৯৩ শতাংশ কমেছে। মৃত্যু কমেছে ৯৪ শতাংশ। আগে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়া ছিল, এখন সেটি কমে ২টি জেলায় নেমে এসেছে। এটা আমাদের সাফল্য। এবার এটিকে একেবারে নির্মূল করতে হবে।

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষ্যে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের মশা নিধন করতে হবে। এজন্য নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। দেখা গেলো আমাদের দেশে ম্যালেরিয়া নির্মূল হলো, কিন্তু আশপাশের দেশ থেকে ম্যালেরিয়াবাহী মশা চলে এলো। সেজন্য আমাদের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে ম্যালেরিয়া মশা নির্মূল করতে হবে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, এয়ার ট্রান্সপোর্টেও ম্যালেরিয়া মশা চলে আসে, সে জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ফান্ডিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অবশ্যই যেকোনো একটা কার্যক্রম পরিচালনায় একটা ফান্ডিং প্রয়োজন হয়। এটা সরকার দেবে। তবে আপনারা জানেন স্বাস্থ্য খাতেই আমাদের ফান্ডিং কম। জিডিপির ১ শতাংশের নিচে আমাদের স্বাস্থ্য বাজেট। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামনের বাজেটে স্বাস্থ্যে আরও বাজেট বাড়ানো হবে।

মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতার কারণে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে এমন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। আমরা ভুল করতে চাই না, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি এক বছর ধরে মোকাবিলা করে আসছি। আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে জনগণের বেসামাল চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে।

জাহিদ মালেক বলেন, এ বছর আমাদের হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকা কর্মসূচি চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইউলাইন মেনে চলছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। তবে আমরা যখনই মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছেড়ে দিয়েছি তখনই সংক্রমণ আবার বেড়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর এবং মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।

-জেডসি