ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৪:৩১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রোজিনার জামিনের আদেশ রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ২০ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার

রোজিনার জামিনের আদেশ রোববার

রোজিনার জামিনের আদেশ রোববার

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিনের বিষয়ে আগামী রোববার আদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিন শুনানির পর এ কথা জানানো হয়।   

এর আগে গত গত মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

একই দিন সকালে রোজিনাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। এদিন রোজিনাকে জামিন দিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
 
রোজিনাকে গ্রেপ্তারের পর প্রিজন ভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। সেখানে তাকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিকে, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোজিনা ইসলাম। তার সহকর্মীরা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

আশরাফ উল আলম ও প্রশান্ত কুমার কমর্কারসহ আজ বৃহস্পতিবার শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সাভির্সেস ট্রাস্ট এবং আইন ও শালিস কেন্দ্রের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌশুলি আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাজ্জাদুল হক শিহাব ও তাপস পাল।