অবসরে টেনিস তারকা হিঙ্গিস
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৮:১৮ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার
শনিবার পেশাদার টেনিস থেকে বিদায় নিয়েছেন সুইস তারকা মার্টিনা হিঙ্গিস। ৩৭ বছর বয়সে তিনি যখন টেনিসকে বিদায় জানান তখন অনন্য এক রেকর্ড গড়েই সড়ে দাঁড়ালেন। সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউটিএ ডাবলস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানটা এখন হিঙ্গিসের দখলে।
ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো অবসরের ঘোষণা দেয়া মহিলা দ্বৈত টেনিসে বিশ্বের একনম্বর খেলোয়াড় ও পাঁচবারের একক গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাজয়ী মার্টিনা হিঙ্গিস বলেন, এবার অবশ্যই অবসরে যাচ্ছি আমি। এবারের ব্যাপারটি আলাদা। এর আগে আমার কাছে মনে হয়েছিল আমি ফিরতে পারি। তবে এমন এক মৌসুম শেষে এটাই সঠিক সময়। ২০০৩ সালে ২২ বছর বয়সে প্রথমবার অবসরের ঘোষণা দেন হিঙ্গিস।
পরে অল্পদিনের জন্য খেলায় ফিরে ২০০৭-এ দ্বিতীয় দফায় অবসরে যান এ সুইস তারকা। চলতি বছর মিশ্র দ্বৈতে উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনের শিরোপা জেতেন মার্টিনা হিঙ্গিস। এতে দ্বৈতের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেন তিনি। ১৯৯৬-এ হেলেনা সুকোভার সঙ্গে জুটি বেঁধে মহিলা দ্বৈতের শিরোপা জেতেন ১৫ বছর বয়সী মার্টিনা হিঙ্গিস। এতে গ্র্যান্ড স্লাম টেনিসে সবচেয়ে কমবয়সে শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েন তিনি।
১৯৯৭-এ মাত্র ১৬ বছর বয়সে ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছেন হিঙ্গিস। ওই বছর তিনি জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন শিরোপা। এতে ১৭ বছর বয়সী হিঙ্গিস ভেঙে দেন উইম্বলডনে ১১০ বছরের পুরনো রেকর্ড। লন্ডনে ফাইনাল খেলায় ইয়ানা নোভোতনাকে হারিয়ে ১১০ বছরে সবচেয়ে কমবয়সী নারী খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা কুড়ান হিঙ্গিস।
তবে ক্যারিয়ারে দুই ভারতীয় সেনসেশন সানিয়া মির্জা ও লিয়েন্ডার পেজের অবদানের প্রশংসা করতে ভুল করেননি এই সুইস তারকা।
ক্যারিয়ারে ১০টি মেজর শিরোপা জিতেছেন হিঙ্গিস। সর্বশেষ তাইপের ইয়ং-ইয়ান চ্যানের সাথে জুটি বেঁধে তিনি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা দখলের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সানিয়া ও পেসের সাথে জুটি বেঁধে সাতটি ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসের শিরোপাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
এ সম্পর্কে হিঙ্গিস বলেন, এই ধরনের খেলোয়াড়দের সাথে জুটি বেঁধে কোর্টে নামাটাও সৌভাগ্যের। সানিয়া ছাড়া আমি আবারো টেনিসে ফিরতে পারতাম না, সেই অনুভূতি নিতে পারতাম না। আমরা যখন উইম্বলডন জিতি সেটা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমি একা কোনভাবেই এই শিরোপা অর্জন করতে পারতাম না। আমাদের দু’জনের একসাথে ‘সানটিনা’ সময়টা ছিল অসাধারণ।
তিনি আরো বলেন, একইভাবে লিয়েন্ডারের সাথেও আমার সময়টা দারুণ কেটেছে। আমরা একসাথে চারটি স্ল্যাম জিতেছিল। আসলে তাদের ছাড়া আমার এই অর্জন কোনভাবেই সম্ভব ছিলনা।
