মুখাগ্নির আগে হঠাৎ নড়ে উঠলেন বৃদ্ধা পুষ্পরানি
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:২১ পিএম, ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার
মুখাগ্নির আগে হঠাৎ নড়ে উঠলেন বৃদ্ধা পুষ্পরানি
বৃদ্ধা মারা গেছেন ভেবে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্মশানে। চিতাতে চাপানোও হয় তাকে। কিন্তু মুখাগ্নি করার কয়েক মুহূর্ত আগে হঠাৎ নড়ে উঠলেন বৃদ্ধা। এ অবস্থা দেখে হইচৈই পড়ে যায় শ্মশানে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃদ্ধাকে নিয়ে যায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ চিকিৎসাও চলে। তার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ওই বৃদ্ধাকে। ভারতের পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে এ ঘটনা।
পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের নামো পাড়ার বাসিন্দা পুষ্পরানি আচার্য (৭৮)। ৮ মাস আগে পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে যায় তার। তখন থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। স্বামী মারা গেলেও দুই সন্তান রয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়া শব্দ না পেয়ে বৃদ্ধার ছেলেরা খবর দেন পাড়া-প্রতিবেশীদের। খবর দেওয়া হলেও করোনার কারণে কোনও চিকিৎসক আসেননি। বহু ডাকাডাকির পর কোনও সাড়া না পাওয়ায় সকলে ভাবেন মারা গেছেন পুষ্পরানি।
এরপরই দাহ করার জন্য বৃদ্ধার দেহ স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিতায় ওঠার পর ফের নড়তে শুরু করেন বৃদ্ধা। যা দেখে শ্মশানযাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে পাণ্ডবেশ্বর থানা থেকে পুলিশ এসে বৃদ্ধাকে নিয়ে যায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কিচ্ছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় তার। কী করে একজন জীবিতকে চিতায় তোলা হল, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি অন্ডাল সৈয়দ আনোয়ার বলেছেন, পুলিশ খবর পেয়ে গিয়ে দেখে পুষ্পরানি বেঁচে আছেন। পুলিশ তাকে দুর্গাপুর মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
