ঢাকা, বুধবার ১৭, এপ্রিল ২০২৪ ১:৪৪:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাজেটে ঘাটতির অর্থ সংস্থান নিয়ে সিপিডির উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:২২ পিএম, ৪ জুন ২০২১ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির অর্থসংস্থান কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

প্রতিষ্ঠানটির মতে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য দেয়া বরাদ্দকে যথেষ্ট মনে করছে না বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটি।

শুক্রবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল ঘাটতির অর্থ সংস্থান নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেট ঘাটতির অর্থ কোথা থেকে আসবে সেটা বড় প্রশ্ন। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬.২ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৈদেশিক উৎস থেকে বাজেট ঘাটতি পূরণের বিষয়টি ইতিবাচক দিক। এটা কাঙ্ক্ষিত। তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ১০ মাসের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে পুরো অর্থবছর কেমন হতে যাচ্ছে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে গতিপ্রকৃতি ঠিক করা হয়নি। আমরা এখানে দুর্বল অবস্থায় রয়েছি।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের বিষয়ে বাজেটে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় রাজস্ব আহরণ ১০.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে কতটুকু সম্ভব হবে, সে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সিপিডি পর্যালোচনায় দেখতে পায় রাজস্ব আহরণ ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৯.৬ শতাংশ। বলা হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। ব্যয় ঠিক করে আয়ের চিন্তাধারা থেকে এনবিআরের ওপর রাজস্ব আদায়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়। যা আসলে অর্জন করা সম্ভব হয় না।

গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ‘মহামারীকালে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে’১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য নেয়া উদ্যোগকে যথেষ্ট মনে করছে না সিপিডি।


-জেডসি