অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ৪ জুন ২০২১ শুক্রবার
ছবি: সংগৃহীত
মাছ বাজারে দামের হৈ হৈ রব নেই অনেকদিন। বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম খুব একটা ওঠানামা না করলেও অস্থির হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, রসুন, ডালের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে আটা, ময়দা, চিনির দামও। কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে চালের দাম। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার বাজারগুলোতে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকায়, তুলনামূলক দরিদ্র মানুষকে মোটা চাল কিনতে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৪ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। একই হারে বেড়েছে পামওয়েল বা সুপার তেলের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে।
এছাড়া মুদি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি। আমদানি করা রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। কেজি ৫ টাকা বেড়েছে মসুর ডালের দাম।
গত সপ্তাহে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া প্যাকেট আটা এ সপ্তাহে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা। ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ময়দা। যা গত সপ্তাহেও ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মুদি বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা চিনি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আগের মতোই ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি ৩০ থেকে ৩২ টাকা। ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
এদিকে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৫৫০-৬০০ টাকা, খাসি ৮০০-১০০০ টাকা, ব্রয়লার ১৩০-১৩৫ টাকা, লেয়ার ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম ৩২ টাকা হালি (পূর্বে ছিল ২৮-৩০ টাকা) ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা হালি (পূর্বে ছিল ৩৬-৩৮ টাকা) দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরনের শাকসবজির দামও। গোল আলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়স, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাকসহ সবধরনের শাক সবজির দাম বেড়েছে।
গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকায়, কাঁচামরিচ পূর্বে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ হচ্ছে ৬০ টাকা, ১ কেজি রসুন কিনতে গুণতে হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা। পূর্বমূল্য ছিল ১২০ টাকা। গোল আলুর দাম হয়েছে ২৫ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২০ টাকায়। এছাড়াও আদা ১০০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর (চায়না) ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এসব সবজি এক সপ্তাহ আগেও পাওয়া যেতো ৫-১০ টাকা কমে।
ক্রেতারা বলছেন, বর্তমান বাজারে সব কিছুর দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এখন আবার নতুন করে বাজেট হয়েছে। বাজেটের প্রভাবে সামনে হয়তো অন্যান্য জিনিসের দাম আরও বাড়তে পারে।
-জেডসি