ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৭:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নিরপরাধ হয়েও জেল খাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ৭ জুন ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে সাজা ভোগকারী মিনু বেগমকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় সশরীরে আদালতে হাজির হতে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু আদালত-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর এমএ নাসের, আইনজীবী বিবেকানন্দ ও নুরুল আনোয়ারকে লিখিত ব্যাখা দিতে বলেছেন আদালত। তাদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

এর আগে গত ২৪ মার্চ এই হত্যা মামলার নথি বিশেষ বাহকের (স্পেশাল ম্যাসেঞ্জার) মাধ্যমে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এই মামলায় মিনুর পক্ষের আইনজীবী জানান, কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায় অন্য একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন এই নারী।

পরবর্তী সময়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত। দ্রুত সমাধানের জন্য আদেশের একদিন পর মামলার উপনথি হাইকোর্টে পাঠানো হয় বিশেষ বাহকের (স্পেশাল ম্যাসেঞ্জার) মাধ্যমে।

মহনগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী বলেন, আদালতে সংরক্ষিত ছবি সম্বলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন। যেহেতু ইতিমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে তাই মামলার উপনথি দ্রুত সময়ের হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।

হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। কিন্তু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু নামে এক নারী। নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন দুই বছর নয় মাসের বেশি সময় ধরে।

কোনো কিছুর মিল না থাকায় একজনের স্থলে আরেকজন জেল খাটার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

-জেডসি