পরম যত্নে রত্ন হয়ে উঠেছে নাটোরের কালাতুফান
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ২৩ জুন ২০২১ বুধবার
ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কালাতুফান
অনেক অনেক ভালোবাসা ও যত্নে রত্ন হয়ে উঠেছে নাটোরের কালাতুফান। অশান্ত বলা হলেও খুবই শান্ত গরু এই কালাতুফান। ছয় ফুট উচ্চতা ছাড়িয়ে গেছে তার। এক হাজার ২০০ কেজি ওজন। দেশে এ ধরনের অতিকায় গরু ব্যক্তি উদ্যোগে খুব কমই দেখা যায়। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে উপলক্ষ করে কালাতুফানের দাম চাওয়া হয়েছে দশ লাখ টাকা।
নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম ২০০৫ সালে শখের বশে গরু পালতে শুরু করেন।
এবছর কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ করে তিনটি গরু পালন করছেন আমিরুল। এরমধ্যে দুইটি সাড়ে চার লাখ টাকা করে ইতোমধ্যে কিনে নিয়ে গেছেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। এখন আমিরুলের খামারে শুধুই কালাতুফানের অবস্থান।
তিন বছর ধরে পরম যত্নে কালাতুফানকে তৈরি করেছেন আমিরুল। এ্যাংকার ভুষি, গুড় আর চিড়া দিয়ে তৈরি করা বিশেষ খাবার কালাতুফানের প্রিয় খাবার। এ খাবার প্রতিদিন সকাল আর বিকেলে আট কেজি করে খায় সে। মাঝেমধ্যে আমিরুলের নিজস্ব খামারে উৎপাদিত নেপিয়ার ঘাস কালাতুফানের প্রিয় খাবার হয়ে ওঠে।
নিয়ম করে খাবার খাওয়ানো, পরিচর্যা করা এবং পশু চিকিৎসকের পরামর্শে রেখে কালাতুফানকে তৈরি করেছেন আমিরুল। কালাতুফান এখন উচ্চতায় ছয় ফুট ছাড়িয়ে গেছে আর দৈর্ঘ্যে নয় ফুট। ওজন কমপক্ষে এক হাজার ২০০ কেজি।
বাজারে পশু খাবারের ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যের কথা উল্লেখ করে আমিরুল জানান, ছয় মাস আগে অ্যাংকর ভুষির কেজি ছিলো ৩৫ টাকা, এখন ৫৫ টাকা। গত পরশু এক বস্তা ৮০০ টাকায় কিনলেও গতকাল মঙ্গলবার কিনতে হয়েছে ৯১০ টাকায়। পশু খাদ্যমূল্যের বাজার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান আমিরুল।
ক্ষতিকর স্টেরয়েড ব্যবহার করে পশুর ওজন ও আয়তন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আমিরুল বলেন, কোন স্টেরয়েড কখনোই ব্যবহার করা তো দূরের কথা, ভুল করেও আমাদের চিন্তায় আসেনি।
আমিরুল আরো বলেন, অনেক যত্নে কালাতুফানকে লালন করেছি। সৌখিন ব্যক্তিরাই ওর কদর বুঝবে। তাদের নজরে আনতে পারলে দাম অন্তত দশ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
আসন্ন কোরবানীল ঈদ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ বিভাগের অনলাইন পশুর বাজারে কালাতুফানের যথাযথ প্রচারণার দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলার প্রাণিসম্পদ অঙ্গণ বৈচিত্রে ভরপুর হয়ে উঠছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ আমাদের উৎসাহী খামারীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, তাদের প্রণোদনা প্রদান করছে, প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এরই ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে নাটোরে তৈরি হয়েছে ‘কালাতুফান’। প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হওয়া ‘কালাতুফান’ অনেক আকর্ষণীয়। প্রত্যাশা করছি উৎপাদক প্রকৃত দাম অবশ্যই পাবেন।
