জবি’র ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাবলী মারা গেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৭ জুলাই ২০২১ বুধবার
সাঈদা নাসিরন বাবলী। ফাইল ছবি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা নাসিরন বাবলী আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি ভেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৫ বছর।
এর আগে গত ২০ জুন নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেষ স্ট্যাটাস দেন সাঈদা নাসরিন বাবলীর। সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রচণ্ড জ্বর, আমি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছি।’
বুধবার ভোরে তার স্বামী ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘সব শেষ। আজ ভোর ৪টায় আমার সহধর্মিণী সাঈদা নাসরিন বাবলী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।’
তার সহকর্মীরা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসারত ছিলেন। সবশেষ প্রায় ১৬ দিন আইসিইউতে ছিলেন তিনি। ডেঙ্গুর সঙ্গে তার করোনা পজিটিভ ছিলো। এরমধ্যে প্রথম দফায় গত ২১ জুন লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলেও ২৯ জুন তা খুলে দেওয়া হয়। এরমধ্যে তার কিডনি অকার্যকর হয়ে পরে। সর্বশেষ ৫ তারিখ আইসিইউতে থাকা অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে আবার লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ ভোরে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়।
তার সহকর্মী ও ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান মফিজুর রহমান বলেন, ‘ওনার ডেঙ্গু ও করোনা দুইটাই একসঙ্গে পজিটিভ এসেছিল। চিকিৎসা চলাকালে ওনার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হলেও ৫ তারিখ ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করলে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।’
জবির ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক খোদেজা খাতুন জানিয়েছেন, বাবলীকে সিরাজগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে। সেখানে মরদেহ নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সাঈদা নাসরিন বাবলীর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোল্ড মেডেল পাওয়া এই শিক্ষিকা ৩২তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে হয়েছেন প্রথম। তার লেখা বেশ কিছু বই রয়েছে।
বাবলীর স্বামী ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বাংলাদেশ হাইকোর্টে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।