তুমি সত্যিই ট্রফির যোগ্য দাবিদার: মেসির স্ত্রী
ক্রীড়া ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৩১ পিএম, ১১ জুলাই ২০২১ রবিবার
ছবি: ইন্টারনেট
ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ২০২১ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর এ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল দেশটি।
ম্যাচ শেষে শিরোপা জয় করায় সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে ব্যস্ত লিওনেল মেসি। ঠিক তখনই তার স্ত্রী আন্তেল্লা রোকুজ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই শিরোপা জিতেছেন স্বামী লিওনেল মেসি।
রোকুজ্জে আরও লিখেছেন, আমরা এখন চ্যাম্পিয়ন। এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা। ভালোবাসা এগিয়ে যাও। এতদিন যে স্বপ্ন ছিল তা পেয়েছ। সত্যিই তুমি শিরোপা জেতার যোগ্য দাবিদার। তোমাকে দেখার জন্য এবং একসঙ্গে উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।
শিরোপা এনে দিতে যার অবদান সবচেয়ে বেশি সেই লিওনেল মেসিই পেলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এবারের আসরে মোট সাতটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এর মধ্যে পাঁচটিতেই ম্যাচ সেরা। গোলও করেছেন সর্বোচ্চ চারটি। অ্যাসিস্ট করেছেন পাঁচটি।
সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। এরপর একের পর এক ফাইনালে উঠেও বারবার পুড়তে হয়েছে হতাশার বেদনায়। বিশেষ করে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দুই বছরে ফাইনালে উঠেও রানার্সআপ হয়ে শেষ করতে হয়েছে মেসিদের।
এ জয়ের ফলে মেসি যেমন প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে কোনো শিরোপা জিতল, সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রেও উরুগুয়েকে স্পর্শ করল ম্যারডোনা-মেসির আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে এর আগে ১৪বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। আর আজ ব্রাজিলকে হারিয়ে সেই সংখ্যা ১৫তে দাঁড়িয়েছে। উরুগুয়েও ১৫বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। অন্যদিকে ব্রাজিল মোট নয়বার কোপার ট্রফি জিতেছে।
এদিন ম্যাচের শুরুতে ঘরের মাঠে বল দখলে এগিয়ে ছিল সেলেকাওরা। তবে আক্রমণের পরিসংখ্যানে দুদল ছিল সমানে সমান। কিন্তু ম্যাচের কাঙ্ক্ষিত প্রথম গোল কিন্তু স্বাগতিকরা পায়নি। উল্টো গোল করে লিড নিয়েছে লিওনেল মেসিরাই।
তখন ম্যাচের ২২ মিনিটের খেলা চলছিল। রদ্রিগো ডি পলের দুর্দান্ত থ্রু বলে ব্রাজিলের অফসাইড ফাঁদ ভেঙে ঢুকে পড়েন ডি মারিয়া। বুদ্ধিদীপ্ত চিপ শটে সামনে থাকা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন এ তারকা ফরোয়ার্ড।
২৯তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শট নেন দি মারিয়া। এবার ব্লক করেন ব্রাজিল অধিনায়ক চিয়াগো সিলভা। চার মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসি। এরপর ৪৩তম মিনিটে রিশার্লিসনের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি লুকাস পাকেতা। পরের মিনিটে নেইমারের কর্নারে রিশার্লিসনের হেডে দূরের পোস্টে পা ছোঁয়াতে পারেননি কেউ।
প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত দুদলই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কোনো হয়নি। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে ব্রাজিল। সেই লক্ষ্যে চলতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। অবশ্য ৫২তম মিনিটে রিচার্লিসনের কল্যাণে গোল পেয়েছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে শিরোপা নিশ্চিত হয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
-জেডসি