ঢাকায় জমজমাট পশুর হাট: বেড়েছে বিক্রি, কমেছে দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। শুরুতে কেনাবেচা কম হলেও শেষ মুহূর্তে বিক্রি বেড়েছে পশুর হাটে। হাটের সময় ফুরিয়ে আসায় দামও ছাড়তে শুরু করেছেন ব্যাপারিরা। হাটগুলোতে কুরবানির পশু বিক্রি যেমন বেড়েছে, একইসঙ্গে কমেছে দাম।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কয়েকটি কুরবানির পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গাবতলী হাট ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ হাটের হাসিল ঘরগুলোতে ভিড় অনেকটা বেড়েছে। শেষ মুহূর্তে ক্রেতা সমাগম যেমন বেড়েছে, একই সঙ্গে বিক্রেতারা কমিয়েছেন দাম।
ব্যাপারিরা জানান, গতকাল থেকেই ক্রেতার চাপ বেড়েছে হাটটিতে। আর ঈদ ঘনিয়ে আসায় তারা দামও অনেকটা কমিয়েছেন।
পাবনা থেকে ৮৩টি গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন শফিকুল ইসলাম। চারদিনে ৪৮টি গরু বিক্রি হয়েছে তার। সবগুলো গরু বিক্রি করেই ফিরতে চান তিনি। তাই দাম একটু কম হলেও বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানালেন।
তিনি বলেন, যা বিক্রি করছি, তাতে কিছু লাভ আসছে। এখন একটু কমে হলেও বাকিগুলো দিয়ে দিচ্ছি। সব গরু বিক্রি করেই যেতে চাই।
একই চিত্র দেখা গেছে উত্তর সিটির অস্থায়ী হাট বসিলায়। বিশাল আয়তনের এ হাটে ক্রেতা সমাগম এখন চোখে পড়ার মত। বিক্রিও বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্টরা ও বিক্রেতারা।
কুষ্টিয়া থেকে হাটে গরু নিয়ে এসেছেন মো. বশির ব্যাপারী। তিনি জানান, মাত্র দুটি গরুর বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছেন। গত তিন দিন যে গরুর দাম দেড় লাখ হেঁকেছেন, এখন লাখ টাকা পেলেই তা ছেড়ে দিতে চান। আশা করছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে।
এছাড়া দক্ষিণ সিটি দনিয়া কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গার হাটেও বিক্রি জমজমাট।
শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের সঙ্গে দামদর করতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে রাজধানীর আফতাবনগর হাটের ব্যাপারীদের।
এদিকে সকল হাটেই ছোট ও মাঝারি আকারের গরু রয়েছে চাহিদার তুঙ্গে।
এদিকে রাজধানীতে পাড়া মহল্লায় হাট না থাকলেও অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রির উদ্যেশ্যে। মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকার প্রধান সড়কে এমন শতাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ীর দেখা মিলেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে এখন তাদের ব্যস্ততা চরমে। বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ।
একই এলাকার টাউন হল এলাকার সিটি করপোরেশনের প্রকল্পস্থলে বসানো হয়েছে ছাগলের হাট। অবৈধ হলেও এই হাটে ক্রেতার অভাব নেই। ছাগল কিনতে জায়গাটিতে ভিড় করছেন স্থানীয় হাজারো ক্রেতা।
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি দেয়ার জন্য সারা দেশে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি গবাদিপশু, যার মধ্যে প্রায় ৬২ লাখ ৩৬ হাজার গবাদিপশু হূষ্টপুষ্ট করেছেন দেশের সাত লাখ খামারি। বাকি পশু পারিবারিকভাবে লালন-পালন করা হয়েছে। তবে এবার কোরবানিতে বিক্রি হতে পারে ৯৯ লাখ ২২ হাজার পশু। এমতবস্থায় সারাদেশে প্রস্তুত থাকা পশুর মধ্যে ২০ লাখ বা প্রায় ১৭ শতাংশ অবিক্রীত থাকতে পারে।
-জেডসি