ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ২০:৪২:৪৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন: রাস্তায় ভিড় কিছুটা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২১ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন আজ। একই সাথে ঈদ পরবর্তী সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন। এদিন গত দুই দিনের তুলনায় রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা বেশি চোখে পড়েছে। চেকপোস্টগুলোতে আছে পুলিশের কঠোর নজরদারি। প্রয়োজনে সেগুলোও এড়িয়ে চলছেন নগরবাসী।

রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, জিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড় এবং গণভবন চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, চেকপোস্টগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন ঠিকই, তবে রাস্তায় চলছে শত শত গাড়ি। ব্যক্তিগত গাড়িগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলাচল করছেন। এছাড়া বেশিরভাগ মোটরসাইকেলে চলছেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কর্মীরা।

আরও বহু মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই বলছেন, হাসপাতালে রোগীকে খাবার দিতে যাচ্ছেন অথবা রোগী দেখতে যাচ্ছেন। কেউ আবার বেরিয়েছেন ব্যাংকের উদ্দেশ্যে। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে তারা গন্তেব্যে পৌঁছাচ্ছেন। কোনো উপায় না পেয়ে অনেকে হেঁটেও রওয়ানা হয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশে।   

আরেকজনের সঙ্গে ভাড়া ভাগাভাগি করে মোহাম্মদপুর থেকে রিকশায় যাচ্ছিলেন আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আমি জিগাতলায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করি। রিকশা ভাড়া বেশি ও পাশের ব্যক্তির গন্তব্য একই হওয়াতে আমরা শেয়ারে যাচ্ছি।

মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড ও শংকর বাস স্ট্যান্ডে দেখা গেছে কয়েকজন ব্যক্তি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছেন। বিধিনিষেধে মোটরসাইকেলে দুইজন চলাচল নিষেধ, তবুও কি করে যাত্রী পরিবহন করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মিজান বলেন, ভাই, সব কিছু সিস্টেমে চলে। চেকপোস্টের আগে আমরা যাত্রীদের নামিয়ে দেই। আবার চেকপোস্ট পার হয়ে তাদের তুলি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চেকপোস্টের এড়িয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যাই। আমাদের সঙ্গে পেট আছে, পুলিশ তো আমাদের খাবার দিচ্ছে না। নিজের খাবারটা নিজেকে জোগাড় করে খেতে হচ্ছে। তাই ফাঁকি দিয়ে হলেও নিজের পেট চালানোর চেষ্টা করছি।

চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সবাই কাজে যাচ্ছে। আমরা ১০০ গাড়ি থামালেও কাউকে আটকাতে পারছি না। গাড়ি ইশারা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির গ্লাস নামিয়ে কেউ বলেন ব্যাংকে যাচ্ছি, হাসপাতালে যাচ্ছি, টিকা দিতে যাচ্ছিসহ নানা বিষয়। কাউকে আটকে রাখার সুযোগ নেই। প্রথম দিন আমরা ডাক্তার বা হাসপাতাল রিলেটেড ছাড়া কাউকে যেতে দেইনি। আর আজ যুক্ত হয়েছে ব্যাংক। নিশ্চয়ই একদিন পরে আরও কোনো না কোনো কিছু যুক্ত হবে এই কাতারে। এভাবেই বাড়তেই থাকবে রাস্তাঘাটে গাড়ি ও মানুষের সংখ্যা।

রাসেল স্কয়ার মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম বলেন, 'আজ ব্যাংক খোলা, রাস্তায় অনেক গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে থাকা মানুষ কোনো না কোনো কাজে যাচ্ছে। ডাক্তার, নার্সরা তো আছেনই, এর বাইরে কেউ হাসপাতালে রোগী দেখতে, খাবার দিতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে কেউ ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বা উঠাতে যাচ্ছে। শত মানুষ শত কাজে বের হয়েছেন।


-জেডসি