বিধিনিষেধের সপ্তম দিন: সড়কে মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিন আজ। এদিন গত ছয় দিনের তুলনায় রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা বেশি চোখে পড়েছে। এই কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিকে সড়কে খুব বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, সড়কে মানুষের উপস্থিতি ততই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলও। তবে চেকপোস্টগুলোতে আছে পুলিশের কঠোর নজরদারি। প্রয়োজনে সেগুলোও এড়িয়ে চলছেন নগরবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
মানুষের উপস্থিতি থাকলেও প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের দোকান বন্ধ ছিল। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সড়কে প্রাইভেটকার, কার্ভাড ভ্যান, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, সিএনজি আর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বেশি দেখা গেছে।
রাজধানীর রামপুরা বাজার এলাকায় কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আদনান আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, জরুরি সেবার আওতায় থাকায় আমাদের অফিস খোলা। তাই বিধিনিষেধ চলুক আমাদের বের হতেই হচ্ছে। শুরুর দিকে সড়কে তেমন মানুষ বের হয়নি। কিন্তু সড়কে মানুষের সরব উপস্থিতি। দিন যত যাচ্ছে, বাইরে মানুষের সংখ্যা ততই বাড়ছে।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় কথা হয় রিকশা চালক কামাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ শুরুর প্রথম ৩/৪ দিন যাত্রীই পাইনি। এরপর থেকে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অন্য কোনো গণপরিবহন না চলায় সবাই রিকশায় চলাচল করছে। মানুষ আর কয়দিন ঘরে থাকবে। জীবিকার তাগিদে মানুষ বের হচ্ছে।
গুলশান বাড্ডা লিংক রোড এলাকা থেকে কাকরাইল মোড়ে যাবেন জলিল খান। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ চলছে, আবার অফিসও চালু রাখা হয়েছে। আমরা কিভাবে ঘরে থাকব? এমন অনেকে আছেন, যাদের কর্মক্ষেত্রের কারণে বাধ্য হয়ে বের হতে হচ্ছে। অফিস থেকে নিজস্ব পরিবহনে কর্মীদের আনা নেওয়ার কথা থাকলেও তা নেই। এই সুযোগে রিকশা চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। সব বিপদ এসে পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর।
-জেডসি