ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ২১:৩২:১৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বরিশালে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য স্বতন্ত্র করোনা ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২১ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসার জন্য বরিশালে ২০ শয্যাবিশিষ্ট স্বতন্ত্র ইউনিট চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নগরীর কালিবাড়ী রোডে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চলতি সপ্তাহেই রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। যেখানে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সিজারিয়ান অপারেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিভাগ সংশ্লিষ্টরা।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম।

এছাড়াও বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালের ২২ শয্যার করোনা ইউনিটটিকে ১০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে ওই হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগ ব্যতিত অন্য সকল বিভাগ বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এর বাইরে বরিশাল জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি করে মোট ১৮০ শয্যার পৃথক ৯টি করোনা ইউনিট চালুর করা হচ্ছে। এর পরেও করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিলে সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে সাড়ে তিন শ' শয্যার পৃথক দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা এবং সিজারিয়ানে অনেক সমস্যা হচ্ছে। কারণ করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী একজন মায়ের সিজারিয়ানের পরে ১৪ দিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে ওই অপারেশন থিয়েটার। এ কারণে অন্য রোগীদের ঝামেলা এবং সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই বরিশাল নগরীর কালিবাড়ী রোডের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য ২০ শয্যার করোনা ইউনিট খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কাগজে-কলমে ২০টি শয্যা থাকলেও সেখানে সর্বোচ্চ ৫০-৬০ জন রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। এখানে গর্ভবতী ছাড়াও করোনা আক্রান্ত সাধারণ নারীরাও ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা বা অস্ত্রপচারের সুবিধার্থে প্রয়োজনে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেখানে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসবে।

-জেডসি