বাউ মুরগি: ফার্মে বেড়ে ওঠা, তবে স্বাদে দেশিভাব
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০১ এএম, ৮ আগস্ট ২০২১ রবিবার
ফাইল ছবি।
নাম তার বাউ মুরগি; খামারে পালন করা হলেও দেখতে এবং স্বাদে-গুণে প্রায় দেশি মুরগির মতোই। সম্প্রতি এমনই এক মুরগির প্রজাতি উদ্ভাবনও করেছেন দেশের একদল গবেষক। আর তা করা হয়েছে দেশি মুরগির জাত থেকেই।
'বাউ ব্রো মুরগি' বা 'বাউ মুরগি' নাম দিয়ে নতুন জাতের এই মুরগির দুটি স্ট্রেইন বা জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ।
এই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী (অবসরপ্রাপ্ত) ও অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা।
অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্লা বলেছেন, অনেকগুলো স্থানীয় জাতের জার্মপল্গাজম ব্যবহার করে আমরা দুইটা জাত উদ্ভাবন করতে পেরেছি, যেগুলো ফার্মে পালন করা সম্ভব। এগুলোর স্বাদ প্রায় দেশি মুরগির মতোই, সুস্বাদু।
প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির মতোই ঘরে এগুলো লালন-পালন করা যাবে। ছয় সপ্তাহ বা দেড়মাস বয়স হলেই সেগুলো বাজারজাত করা যাবে। বর্তমানে সীমিত আকারে বাণিজ্যিকভাবে এই মুরগি বাজারজাত করাও শুরু হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, যে দুইটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, তার নাম দেয়া হয়েছে 'বাউ সাদা' আর 'বাউ রঙিন'। অর্থাৎ একটি মুরগি সাদা রঙের হয়ে থাকে, আরেকটা রঙিন। সাদা বাউ প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির চেয়ে একটু শক্ত। তবে রঙিন জাতটির স্বাদ একেবারে দেশি মুরগির মতো।
দেড় মাস সময়ে একেকটা মুরগির ওজন হয়ে থাকে গড়ে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত।
অধ্যাপক মোল্লা জানান, তারা বিকল্প এই জাতের উদ্ভাবনের কাজ শুরু করেন ২০০২ সালে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা অনলাইন
