ঢাকা, সোমবার ০৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:০৪:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা: শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২১ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে ১৩ বছর বয়সী শিশু সাবিনাকে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। অপর তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন।

আসামিপক্ষে শুনানি করেন এস এম শাহজাহান ও রাগীব রউফ চৌধুরী।

জানা যায়, প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনাকে অপহরণ করে আসামিরা। এরপর লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে তাকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিচার শেষে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন।

তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মারা যান। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা হাইকোর্টে রায়েল বিরুদ্ধে আপিল আপিল করেন। শুনানি শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

-জেডসি