বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি, ঝুঁকিতে ৫ গ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ২০ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার
ছবি: সংগৃহীত
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মরাবিলা এলাকায় গড়াই নদীর পানি বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে ৫টি গ্রামের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। যে কোনো সময় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে মরাবিলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গড়াই নদীর মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়ক আগেই বিলীন হয়ে গেছে। গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ফসলি জমির উপর দিয়ে মাঠে পানি ঢুকছে। মরাবিলা, চরঘিকমলা, বাকসাডাঙ্গী, কোনাগ্রাম, জামসাপুর এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে জড়ো হয়েছেন। করণীয় সম্পর্কে নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, ইউপি সদস্য আবজাল হোসেনসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এলাকার হাসান বিশ্বাস, নাদের আলী বিশ্বাস, পল্লী চিকিৎসক মুকুল হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ইতিপূর্বে বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়কসহ প্রায় ২শ বিঘা জমি নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। এখন মাঠে পানি ঢুকছে। এতে মরাবিলা, চরঘিকমলা, বাকসাডাঙ্গী, জামসাপুর, কোনাগ্রাম এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কখন যেন তলিয়ে যায়। দ্রত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ৫টি গ্রামের মানুষকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইউপি সদস্য আবজাল হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়ক বিলীন হয়ে গেলে তিন বার চলাচলের সড়ক নির্মাণ করেছি। তিন বারই নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা দেখা দিয়েছে, তাতে জরুরিভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে ৫টি গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ এলাকায় স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, আমার জন্মের পর থেকে দেখছি এভাবেই নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত ও বাড়িঘর। স্থানীয় চেয়ারম্যানরা শুধু বেড়িবাঁধ করেই চলে যান, তাও আবার পাশের ফসলের ক্ষেত থেকে। তবে এবার আমরা গ্রামবাসী এবং জমির মালিকরা এইভাবে আর মাটি কাটতে দেবো না ৷ যদি পারে আমাদের জন্য স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করুক। তিনি আরো বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বেড়িবাঁধ করা মানেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পকেট ভরা। আমরা হয় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করবো, না হয় নদীতে সব বিলীন করে দেবো।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাস্টার বলেন, সকালে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বৈঠক করেছি। যাতে মাঠে পানি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানাকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, গড়াই নদীর মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
-জেডসি
