ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৮:১০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভবিষ্যত কি জানেনা, এক কাপড়েই ঘর ছাড়ছে আফগান নারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২১ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানে তালিবানি প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সে দেশের মানুষের মনে আতঙ্কও বেড়ে চলেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা মনে রেখে যেন তেন প্রকারে দেশ ছাড়তে চাইছে আফগানরা। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছে বহু আতঙ্কিত মানুষ। এক কাপড়ে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন তারা। হুমকিমুক্ত জীবনের আশায় আমেরিকা, ব্রিটেন সহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে অনেক আফগান শরণার্থী অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে নিজ ভূমি ছেড়ে পরবাসে কীভাবে, কোথা থেকে জীবন শুরু করবেন তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত শরণার্থী আফগানরা।

মেডিকেল ছাত্রী ওয়াজমার বয়ান:
তালিবান শাসন থেকে বাঁচতে অনেকের মতো আফগান নাগরিক ওয়াজমা সব ফেলে আমেরিকায় পালিয়ে গিয়েছন আরও অনেকের সঙ্গে। এবার আমেরিকা থেকে অন্যান্য দেশে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের।

তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর ২১ বছর বয়সী মেডিকেলের ছাত্রী ওয়াজমা এতগুলো দিন আফগানিস্তানের বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় আতঙ্কের প্রহর গুণছিলেন। অবশেষে শনিবার নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন তিনি। এর জন্য তাঁকে অবশ্য বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ওয়াজামা বলেন, ‘আমার স্বামী আমেরিকার দূতাবাসে কাজ করতেন। আমরা ওখানে থাকলে তালিবান আমাদের মেরে ফেলত।’

ওয়াজমা এএফপিকে বলেন, ‘এক কাপড়ে দেশ ছেড়েছি আমি। এখন কী হবে? কিছুই জানি না।’

১৫ আগস্ট থেকে আফগানিস্তানের রাস্তায় সশস্ত্র তালিবান মোতায়েনের পর কাবুল থেকে পালানো হাজার হাজার আফগানের মধ্যে ছিলেন তিনিও। ওয়াজমা, তাঁর স্বামী, দেওর ও ছোট্ট ভাইঝি দীর্ঘদিন রাস্তায় কাটিয়েছেন। কাবুল বিমানবন্দরের গেটে না যাওয়া পর্যন্ত গোপনে চলাফেরা করেছেন তাঁরা। সেখানে আমেরিকার সেনারা তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ছোট্ট ভাইঝিকে কোলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। খোদাকে ধন্যবাদ যে, আমরা এখন নিরাপদে আছি।’ পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কট্টর ইসলামপন্থি তালিবান নারীদের প্রতি তাদের বৈষম্যমূলক নীতি পরিবর্তন করবে না কখনওই।’