প্রেমিককে বিয়ের জন্য অর্থ-পদবী ত্যাগ জাপানী রাজকন্যার
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
প্রেমিককে বিয়ের জন্য অর্থ-পদবী ত্যাগ জাপানী রাজকন্যার
রবি ঠাকুর সেই কবে লিখে গিয়েছিলেন, ‘প্রেমেরও ফাঁদ পাতা ভূবনে’। আর সেই ফাঁদে যে কত জন ফেঁসেছেন তার কোনও পরিসংখ্যান নেই। নিজের বুকে কেউই হাত রেখে বলতে পারবেন না, ‘আমার জীবনে ভালবাস আসেনি।’ তা সেই সেলিব্রিটিই হোক বা আমজনতা। আর সেলিব্রিটি হলে তো কথাই নেই। আপনার ভালোবাসার পিছনে দেদার খরচ হবে নিউজ প্রিন্ট ও টাইম স্লট।
এবার মনের মানুষকে বিয়ে করতে চলেছেন জাপানের রাজকুমারী মাকো। আর সেই বিয়ে নিয়ে সড়গরম গোটা দুনিয়ার মিডিয়া।
এদিকে আবার সত্যিকারের ভালোবাসার পথ কখনই সহজ হয় না। জাপানের প্রিন্সেস মাকোর ক্ষেত্রেও এটি সত্যি হয়েছে। নানা বিতর্কের কারণে তার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে দেরি হয়েছে মাকোর। তবে এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিয়ে করে চলে যাবেন আমেরিকা।
জাপানের ক্রাউন প্রিন্সের মেয়ে এবং সম্রাট নারুহিতোর ভাইঝি মাকো গত কয়েক বছর ধরে বিয়ের জন্য নানা বাধা পার করে চলেছেন। তবে অবশেষে এ বছরের শেষ দিকে তিনি তার প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ে করতে চলেছেন। তবে তারা বিয়ে করবেন কোনও ধরণের প্রথা না মেনেই।
জাপানের রাজপরিবার থেকে বেড়িয়ে আসা মেয়েদের বিয়ের জন্য এককালীন অর্থ দেওয়া হয়। সেটিও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রিন্সেস মাকো। কী পরিমাণ অর্থ গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। যদিও জাপানি মিডিয়ার দাবি রাজকুমারী মাকো প্রায় ১৩৭ মিলিয়ন ইয়েন বা ১২ লক্ষ ডলারের মোহ ত্যাগ করেছেন।
জাপানের রাজপরিবারের আইন অনুযায়ী, রাজকীয় মর্যাদাহীন কাউকে বিয়ে করলে প্রিন্সেসকেও তার পদবী হারাতে হবে। ফলে প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ের পর ২৯ বছর বয়সী মাকো তার রাজকীয় পদবী হারাচ্ছেন। বর্তমানে তাদের বিয়ে আটকে আছে। কোমুরো এখন আমেরিকায় রয়েছেন। সেখানে তিনি আইন নিয়ে পড়াশুনা করছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মূলত নেতিবাচক আলোচনা থেকে দূরে থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এই বিয়ে নিয়ে ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়ের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তবে তার মেয়েকে অবশ্যই মানুষের সমর্থন জয় করে নিতে হবে। কিন্তু প্রিন্সেস মাকো এখন সব প্রথা ভেঙ্গে সাধারণভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে বিশাল অংকের অর্থও গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।